Advertisement
Advertisement

সিটুর ডাকা পরিবহণ ধর্মঘটের আংশিক প্রভাব রাজ্যে, ভোগান্তি যাত্রীদের

বেলা বাড়তেই বাড়ছে বনধের প্রভাব।

CITU’s transport strike had a mixed response in West Bengal
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 7, 2018 12:09 pm
  • Updated:August 8, 2018 10:57 am  

ক্ষীরোদদীপ্তি ভট্টাচার্য:  পরিবহণ ক্ষেত্রে নয়া আইন (মোটল ভেহিক্যাল অ্যাক্ট), পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং কেন্দ্রের একাধিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার দেশজুড়ে পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বামেদের শ্রমিক সংগঠন সিটু। ধর্মঘটে সামিল হয়েছে আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন। ধর্মঘটকে নৈতিকভাবে সমর্থন জানিয়েছে সর্বভারতীয় পরিবহণ কর্মীদের সংগঠন, অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস। সকালের দিকে এরাজ্যে ধর্মঘটের খুব একটা প্রভাব না দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিচ্ছিন্নভাবে বনধের প্রভাব দেখা দিতে শুরু করেছে।

[ম্যাসাঞ্জোরের অধিকার কার? বিতর্ক মেটাতে রাজ্য প্রশাসনের বৈঠক]

দিনের শুরুতে শহর কলকাতা, শহরতলি বা জেলা শহরগুলিতে খুব একটা প্রভাব দেখা যায় না বনধের। কিন্তু সকাল ৯টার পর থেকে কিছুটা প্রভাব পড়তে শুরু করে জেলা শহরগুলিতে। উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি বামেদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও সেখানে খুব একটা প্রভাব পড়েনি পরিবহণ ধর্মঘটের। তবে, মালবাজার, কোচবিহার সহ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি শহরে বনধের আংশিক প্রভাব পড়েছে। মুর্শিদাবাদ, মালদায় সিটুর ডাকা ধর্মঘটের আংশিক প্রভাব পড়েছে। অন্যদিকে, নদিয়ায় এই ধর্মঘট কার্যত প্রভাবহীন। বীরভূমেও সেভাবে ধর্মঘটের প্রভাব পড়েনি। তবে, দুর্গাপুর, আসানসোলে বেশ প্রভাব পড়েছে ধর্মঘটের। সকাল থেকেই শিল্প শহরে বেসরকারি বাসের আকাল চোখে পড়ে। দুরপাল্লার বেসরকারি বাসও সেভাবে চলেনি। বনধের সবেচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে হুগলির চুঁচুড়ায়। কার্যত অধিকাংশ বেসরকারি পরিবহণের মাধ্যমই বন্ধ ছিল চুঁচুড়ায়। হাওড়ার সাঁতরাগাছিতেও ভালই প্রভাব রয়েছে। বেসরকারি বাস কার্যত নেই। সরকারি বাস থাকলেও তা অপ্রতুল। বাধ্য হয় শহরতলিতে অ্যাপ ক্যাপের সাহায্য নিতে হচ্ছে অফিসযাত্রীদের। বৃষ্টির জেরে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। তবে, শহর কলকাতায় কার্যত প্রভাব পড়েনি সিটুর ধর্মঘটের।

Advertisement

[সভার আগের দিন ছিন্নভিন্ন অভিষেকের পোস্টার, অভিযোগের আঙুল বিজেপির দিকে]

যদিও, সিটুর তরফে দাবি করা হয়েছে ধর্মঘট সার্বিকভাবে সফল। সিটু নেতা সুভাষ মুখোপাধ্যায় দাবি করেছেন, কোচবিহার, মালদহ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, নদিয়া, আসানসোলে পরিবহণ ধর্মঘট সফল। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনাতেও বনধ আংশিক সফল হয়েছে দাবি করছে সিটুর। ট্যাক্সি ও ট্রাক চলাচলের ক্ষেত্রে ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বলে দাবি সুভাষবাবুর।

এদিন ধর্মঘট মোকাবিলা করার জন্য অবশ্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল শহর কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের। এদিন সরকারি নিগমের গাড়িগুলিকে ধর্মঘটে সামিল হওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে কর্মীদের ছুটিও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও দুর্ভোগ পুরোপুরি এড়ানো সম্ভব হননি।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement