Advertisement
Advertisement

Breaking News

CID

স্ত্রীর আবেদনে সাড়া, সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের রহস্যমৃত্যুর তদন্তভার নিল সিআইডি

তদন্তভার পেয়েই রামপুরহাট পৌঁছে কাজ শুরু করে দিল সিআইডি।

CID takes charge to investigate Lalan Shekh's death case into CBI camp in Rampurhat | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 13, 2022 9:21 pm
  • Updated:December 13, 2022 9:26 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আস্থা নেই সিবিআই (CBI)তদন্তে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই তাঁদের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে সিআইডি (CID) তদন্তের দাবি তুলেছিলেন বগটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত, মৃত লালন শেখের স্ত্রী। এমনকী মৃতদেহ নিতেও অস্বীকার করেছিলেন তিনি। তবে মঙ্গলবার সন্ধের পর তাঁর আবেদন মেনে ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করল সিআইডি। সূত্রের খবর, এদিন সন্ধে থেকেই কাজ শুরু করেছে সিআইডির একটি দল। ঘটনাস্থল রামপুরহাটে গিয়ে লালন শেখের বাড়ির সিল খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও মামলা রুজু করেনি রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা।

সোমবার সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় রামপুরহাটের (Rampurhat) অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচালয়ে। এই ঘটনার পরই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি। তিনি বলেন, “ভাস্কর ও বিলাস আমার স্বামীকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। খুব মেরেছিল। ও আমাকে বলেছিল, আজ দেখে নাও। এটাই হয়তো আমাদের শেষ দেখা। আমাকে ওরা মেরে ফেলবে।” তাঁর আরও দাবি, তাঁদের ছেলেকেও খুনের হুমকি দিয়েছিল সিবিআই আধিকারিকরা। মেয়ের সম্মানহানির হুমকিও দেওয়া হয়। রেশমা বিবির অভিযোগ, লালনের জিভ কেটে দেওয়া হয়েছিল সিবিআই হেফাজতে। মামলা ধামাচাপা দিতে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল সিবিআই, এমন বিস্ফোরক দাবিও করেছে পরিবার। রেশমার সাফ কথা, অভিযুক্তদের শাস্তি না হলে দেহ নেবেন না। সিআইডি তদন্তের আরজিও জানিয়েছিলেন লালনের স্ত্রী। রেশমার করা এফআইআরে নাম ছিল তিন সিবিআই আধিকারিকের। তাঁদের বিরুদ্ধে লালন ও রেশমাকে মারধর করার অভিযোগও রয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: তাওয়াংয়ে ভারত-চিন সংঘর্ষ: উত্তরবঙ্গের হাসিমারা বায়ুসেনা ঘাঁটিকে সতর্ক করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক]

সিবিআই হেফাজতে কীভাবে এক বন্দির মৃত্যু হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। এরপর সন্ধে নাগাদ মৃত লালন শেখের স্ত্রীর দাবি মেনে রাজ্য পুলিশের দায়ের করা খুনের মামলা অনুযায়ী সিআইডিকে তদন্তভার দেওয়া হয়। আর দায়িত্ব পেয়েই কাজ শুরু করেন সিআইডি আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, সিআইডির হোমিসাইড বিভাগের আধিকারিকরা রামপুরহাট গিয়েছেন। তদন্তের কাজও শুরু হয়েছে। লালন শেখের মৃত্যু সামগ্রিকভাবে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সিআইডির তদন্ত হয়ে দাঁড়াল।  

[আরও পড়ুন: ‘কে পাপ্পু?’, দেশের অর্থনীতি, হিমাচলে হার নিয়ে সংসদে বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ মহুয়ার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement