Advertisement
Advertisement

Breaking News

CID Tapan

এখনও অধরা তপনে একই পরিবারের ৫ জনের রহস্যমৃত্যুর কারণ, তদন্তে CID

সম্পত্তির লোভে খুন নাকি অন্য কিছু, খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।

CID takes charge on unnatural death of five family members in Tapan ।Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 13, 2020 7:33 pm
  • Updated:November 13, 2020 7:33 pm  

রাজা দাস,বালুরঘাট: তপনের জামালপুরে এক পরিবারের পাঁচ সদস্যর রহস্যমৃত্যুর তদন্তে সিআইডি। শুক্রবার জামালপুরের ওই বাড়িতে যান আধিকারিকরা। সব কিছু খতিয়ে দেখে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান তাঁরা। আধিকারিকরা নিহতদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন। এদিকে নিহত ওই পাঁচজনের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশের হাতে। গলায় দড়ি দিয়ে বাড়ির কর্তা অনু বর্মনের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। বাকি চারজন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারা গিয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, “আমরা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও সিআইডি (CID) তদন্তের আবেদন করেছিলাম। এদিন সিআইডি আধিকারিকরা ওই বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। মৃত অনু বর্মনের হাতের লেখা পরীক্ষা করেন। এই ঘটনায় কেউ আটক বা গ্রেপ্তার হয়নি। খুব শীঘ্রই ঘটনার কিনারা হবে।”
 
এলাকার বিধায়ক বাচ্চু হাঁসদা বলেন, “জোর তদন্ত চালাতে জেলা পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। সিআইডি এসে তদন্ত করছে। আরও বড় কোনওভাবে তদন্ত করতে চাইলে সেটাও করার কথা বলা হয়েছে। এলাকার মানুষ এবং আমরা চাইছি আসল ঘটনা সামনে আসুক। বাড়ির কর্তা অন্যদের খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি বাইরের কেউ এসে খুন করেছে তা উঠে আসুক। যদি বাইরের কেউ এই ঘটনায় জড়িত থাকে তবে তারাও শাস্তি পায়, সেটাই চাই।”

[আরও পড়ুন: আয়ুর্বেদের গবেষণায় দেশে গ্লোবাল সেন্টার খুলছে WHO, খুশি বাংলার গবেষকরা]

প্রসঙ্গত, তপন থানার চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জামালপুরে একই বাড়িতে পরিবারের ৫ সদস্যের রহস্যমৃত্যু হয়। গৃহকর্তা তথা বাড়ির প্রধান অনু বর্মনের মৃতদেহ ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। ঘরের বিভিন্ন জায়গা থেকে গৃহকর্তার মা, স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। গত ৮ নভেম্বর সকালে প্রকাশ্যে আসা ঘটনার কিনারা এখনও হয়নি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অসুস্থ অনু বর্মন মানসিক অবসাদে বাড়ির সকলকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন। আবার অনুর হাতে তিনজনের নাম উদ্ধার হয়। তা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। এলাকাবাসী ও আত্মীয়দের দাবি, বাইরের কেউ সম্পত্তির লোভে খুন করেছে সকলকে। এই ঘটনার পরেই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও সিআইডি আবেদন জানায় জেলা পুলিশকে। অবশেষে সিআইডি আধিকারিকরা এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পূর্ব বর্ধমানের রামনগরে হিমঘরে বিষাক্ত গ্যাস লিক, অসুস্থ শ্রমিক-সহ ১০]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement