টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার (Bankura) স্কুল থেকে শিশুপাচার কাণ্ডের ঘটনা ঘিরে নতুন করে তোলপাড় রাজ্য। এবার এই ঘটনার তদন্তে নামল সিআইডি (CID)। সূত্রের খবর, শুক্রবারই বাঁকুড়া গিয়েছে তদন্তকারীদের ৫ জনের একটি দল। প্রথমে বাঁকুড়া সদর থানা থেকে এই সংক্রান্ত তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট নেন তাঁরা। তারপর ঘটনাস্থল অর্থাৎ বাঁকুড়া ১ নং ব্লকের কালাপাথর এলাকার জওহর বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করবেন CID প্রতিনিধিরা। এই বিদ্যালয়ের আড়ালেই শিশু পাচারের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। গ্রেপ্তার হয়েছে স্কুলের প্রিন্সিপাল, শিক্ষক-সহ মোট ৫ জন। এই পাচারের কতদূর বিস্তৃত, তা জানতে এবার কাজে নামছে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা।
গত সোমবার আচমকাই বাঁকুড়ার এই স্কুলে শিশুপাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। অভিযুক্ত প্রিন্সিপাল কে কে রাজোরিয়া বিগত চার বছর ধরে বাঁকুড়ার এই বিদ্যালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিবেক বর্মা জানিয়েছেন, দুই শিশুকন্যাকে বেআইনিভাবে নিজের কাছে রেখে দেওয়া-সহ একাধিক বেআইনি কাজকর্মে জড়িত তিনি। তাঁকেই প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর পুলিশের জালে আসে রিয়া বাদ্যকর, সুমিতা বাদ্যকর এবং স্বপনকুমার দত্ত নামের তিনজন। এদের সকলের সঙ্গে যৌনপল্লির যোগ মিলেছে বলে প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিল জেলা পুলিশ। সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া ৯ মাসের শিশুটি রিয়ার সন্তান। সুমিতাদেবী বুঝিয়ে রিয়ার সন্তানকে ‘পাচার’ করেছিল। এই চক্রের টাকা পয়সা লেনদেনের দায়িত্বে ছিলেন সুমিতাদেবী। আর এই বিষয়ে যোগ ছিল বাঁকুড়ার স্কুলের প্রিন্সিপাল কে কে রাজোরিয়ারও। পুলিশের অনুমান, প্রিন্সিপালের সঙ্গে যৌনপল্লির যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন আরেক ধৃত স্বপনকুমার দত্ত।
তবে এই ঘটনায় জেলা পুলিশ তদন্ত করছে। তবে এই স্পর্শকাতর ইস্যুতে বাড়তি তদন্তভার সিআইডি-র হাতে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। আর দায়িত্ব পেয়েই কাজে নেমেছেন তদন্তকারীরা। পুলিশি হেফাজতে থাকা প্রিন্সিপাল কে কে রাজোরিয়া, সুষমা শর্মা, স্বপন দত্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিআইডি অফিসাররা। সূত্রের খবর, ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব এই কেলেঙ্কারির জট ছাড়ানোর লক্ষ্যেই গোড়া থেকে তৎপর হয়ে উঠেছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.