ফাইল ছবি
গোবিন্দ রায়: শীতলকুচিতে গুলিকাণ্ডে এবার কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিশ সুপারকে (SP) তলব করল সিআইডি (CID)। আগামী ১৮ তারিখ বেলা ১১টা নাগাদ তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে ভবানীভবনে। গত ১০ এপ্রিল, কোচবিহারে ভোটের দিন শীতলকুচির ১২৬ নং বুথে গুলিচালনার ঘটনায় তৎকালীন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সিআইডি-র তদন্তকারীরা। তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখতেই এই জেরা বলে খবর সিআইডি সূত্রে।
গত ১০ এপ্রিল, কোচবিহারে বিধানসভা নির্বাচন (WB Assembly Election 2021) চলাকালীন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে শীতলকুচিতে (Sitalkuchi)। ভোটদান পর্ব চলার সময়েই ১২৬ নং বুথের সামনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। তা সামাল দিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গুলিতে চারজন ভোটার নিহত হন। নির্বাচনের বাংলায় এই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায়। রাজ্য-রাজনীতির জল গড়ায় বহুদূর। দীর্ঘ টালবাহানার পরে আবার সেই বুথে পুনর্নির্বাচন হয়। ভোটে জিতে রাজ্যে সরকার তৈরির পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই তদন্তভার সিআইডি-কে দেন। সিআইডি ফরেনসিক টিম, ব্যালেস্টিক টিমকে সঙ্গে নিয়ে নমুনা সংগ্রহ-সহ একাধিক প্রাথমিক পদক্ষেপের মাধ্যমে পুরোদমে তদন্তের কাজ শুরু করে। ব্যালিস্টিক টিম প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়ে জানায়, বুথের ভিতরেই গুলি চলেছিল। যে রাইফেল থেকে গুলি চলে, তা ব্যবহার করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাই। অর্থাৎ প্রাথমিকভাবে স্পষ্ট হয়ে যায়, জওয়ানদের গুলিতেই চারজনের মৃত্যু হয়েছিল।
ভোটের দিন শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গুলিচালনার নির্দেশ কে দিয়েছিল? ওইদিন জেলা পুলিশের ভূমিকা কী ছিল? কোথায়ই বা ছিলেন পুলিশ সুপার? এসব জানতেই তৎকালীন এসপি দেবাশিস ধরকে তলব করেছেন সিআইডি-র তদন্তকারীরা। ভোটের সময়ে এমন ঘটনার পর পুলিশ সুপারের প্রতি অসন্তোষ জমেছিল রাজ্যের প্রশাসনিক মহলে। তাই নতুন সরকার গঠনের পর দেবাশিস ধরকে সাসপেনশনের মুখে পড়তে হয়। কোচবিহার থেকে তাঁকে সরানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই থেকে তিনি সাসপেন্ডেড। এবার তাঁর থেকেই শীতলকুচি গুলিকাণ্ডের বিস্তারিত জানতে চান তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.