স্টাফ রিপোর্টার, শিলিগুড়ি: শিশুপাচার চক্রে বিস্ফোরক তথ্য৷
সর্ষের মধ্যে ভূত না কি রক্ষক-ই ভক্ষক! দার্জিলিং জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক ও এক চিকিৎসক গ্রেফতার হতেই উঠছে এমনই প্রশ্ন৷ ধৃত শিশুসুরক্ষা আধিকারিক মৃণাল ঘোষ ঘটনায় সরাসরি যুক্ত বলে দাবি সিআইডি-র৷ জেলা প্রশাসনকে পুরোপুরি অন্ধকারে রেখে চন্দনার হোমে বেআইনিভাবে শিশু পাঠাতেন ওই আধিকারিক, এমনটাই অভিযোগ৷ মূলত রাস্তা থেকে উদ্ধার হওয়া ‘অনাথ’ শিশুরাই ছিল টার্গেট৷ দার্জিলিংয়ের কোনও হোমে না রেখে শিশুদের কেন চন্দনার হোমে পাঠাতেন ওই আধিকারিক, তারই উত্তর খুঁজতে গিয়ে মোটা টাকা লেনদেনের হদিশ মিলছে বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা৷
শুক্রবার রাতে গ্রেফতারের পর শিলিগুড়ি থানায় নিয়ে এসে ধৃত ওই শিশুসুরক্ষা আধিকারিক ও চিকিৎসককে টানা জেরা করে সিআইডি৷ আজ, শনিবার তাঁদের জলপাইগুড়ি আদালতে তোলার কথা৷ তেরোদিনের সিআইডি হেফাজত শেষ হওয়ায় ধৃত হোমকর্ত্রী চন্দনা চক্রবর্তীকেও এদিন আদালতে পেশ করা হবে৷ ধৃত চিকিৎসক দেবাশিস চন্দ কার্যত চন্দনার হোমের ‘এজেণ্ট’ হিসাবে কাজ করতেন বলে অভিযোগ৷ সন্তান নিতে অনিচ্ছুক অন্তঃসত্ত্বাদের খুঁজে নিয়ে এসে প্রসব করানোর পর টাকার বিনিময়ে কিনে নেওয়া হত সদ্যোজাতদের৷ তার পর ওই শিশুদের ঠাঁই হত চন্দনার হোমে৷ উপযুক্ত ‘দাম’ পেলে যেগুলি পরে পাচার হয়ে যেত বলে অভিযোগ৷
চন্দনার হোমের প্যানেলভুক্ত ধৃত ওই চিকিত্সক দার্জিলিং জেলা শিশুকল্যাণ কমিটিরও সদস্য৷ ‘ব্যাক ডেট’-এ তিনি সতেরোটি শিশুর নথিতে সই করেছিলেন বলে জানতে পেরেছে সিআইডি৷ পরবর্তীতে ওই শিশুগুলি পাচার হয়ে যায় বলে অভিযোগ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.