বাবুল হক, মালদহ: মালদহ হত্যাকাণ্ডের (Maldah Murder Case) তদন্তে CID। সোমবার সকাল থেকে বাবা, মা, দিদা, বোনের হত্যাকারী আসিফকে জেরা করছেন আধিকারিকরা। তার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্তকারীদের নজরে তার রহস্যজনক বাড়ি। জানা গিয়েছে নিজের এলাকার নয়, অন্য জায়গা থেকে মিস্ত্রি নিয়ে এসে ৭০ ফুট উঁচু ওই বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল। যার আশেপাশে লাগানো রয়েছে একাধিক সিসিটিভি। বেশ জোরাল আলোর বন্দোবস্তও রয়েছে। অথচ ওই বাড়ির উপরের অংশ একেবারেই ফাঁকা। না রয়েছে সিমেন্টের ছাদ কিংবা টালির বন্দোবস্ত। তাই আপাতত ওই বাড়ির মিস্ত্রির খোঁজে তদন্তকারীরা।
এদিকে, এখনও পর্যন্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পায়নি পুলিশ। চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। তাঁরাই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরি করছেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সি আসিফ ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনামাফিক তার বাবা, মা, বোন এবং দিদাকে খুন করেছে। সে দাবি করেছে ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়েছিল। তবে পুলিশের একাংশের মতে, মাঝেমধ্যেই তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে আসিফ। তাই তার কথা চোখ বুজে বিশ্বাস করতে নারাজ তদন্তকারীরা। ঠিক কী খাইয়ে পরিবারের চারজনকে অচৈতন্য করেছিল আসিফ, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ওই চারজনের মৃত্যুর চার মাস পর দেহগুলি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কতটা তথ্য পাওয়া যাবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
জেরায় উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। আসিফ জানিয়েছে পুলিশের সাইবার সেল হ্যাক করার চেষ্টা করেছিল সে। আর এই তথ্য সামনে আসার পর আসিফের গতিবিধি আরও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। তার বন্ধুদের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র ঝাড়খণ্ড থেকে আনা হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দাদা আরিফ এবং বন্ধুদের মাসে মাসে টাকা দিত আসিফ। কেন সে তাদের টাকা দিত আর কোথা থেকেই বা টাকা পেত আসিফ, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই টাকার লোভেই কি বাবা, মা, বোন এবং দিদার খুনের কথা জেনেও নিশ্চুপ ছিল আরিফ, সেই প্রশ্নও মাথাচাড়া দিচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.