সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষ্ণনগরের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে নয়া মোড়। খুনের তদন্তে নেমে বিজেপির জেলা সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করল সিআইডি। শুক্রবার নদিয়া জেলা বিজেপি সভাপতি জগন্নাথ সরকারকে ভবানী ভবনে হাজিরা দিতে বলে নোটিস পাঠান তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, সিআইডির কাছে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন জগন্নাথ সরকার। তা না মেলায়, শনিবারই তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে কালকাতা আসেন তিনি।
১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে খুন হন নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। খুব কাছ থেকে তাঁর মাথায় গুলি করে আততায়ীরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরেই উদ্ধার হয় খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। ঘটনায় সরাসরি বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে তৃণমূল। জানানো হয় এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত রয়েছে বিজেপি। ঘটনায় অভিজিৎ পুণ্ডারি নামে স্থানীয় এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিধায়ক খুনের দায়িত্বভার সিআইডির হাতে তুলে দেয় রাজ্য সরকার। এরপরই তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারি, নির্মল ঘোষ, সঞ্জীব মণ্ডল ও কার্তিক মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, ধৃতরা প্রত্যেকেই বিজেপির সক্রিয় কর্মী। যদিও ধৃতদের নিজেদের দলের কর্মী বলে মানতে নারাজ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
এরপরই তদন্তে উঠে আসে নদিয়া জেলা বিজেপি সভাপতি জগন্নাথ সরকারের নাম। সে কারণেই শুক্রবার জগন্নাথ সরকারকে ডেকে পাঠায় সিআইডি। জানা গিয়েছে, হাজিরা এড়াতে সিআইডি-এর কাছে ১ সপ্তাহ সময় চান তিনি। সিআইডির তরফে তাতে সম্মতি মেলেনি। এরপর শনিবার সকালে কৃষ্ণনগর থেকে ভবানী ভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হন জগন্নাথ সরকার। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর থেকে পাওয়া তথ্যে সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের ঘটনার জট কাটতে পারে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.