সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিটাগড়ের বিজেপি কাউন্সিলর মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডের (Manish Shukla Murder Case) তদন্তে এই মুহূর্তে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। সুবোধ সিং নামে পাটনার জেলে বন্দি যে কুখ্যাত দুষ্কৃতীর ষড়যন্ত্র অনুযায়ী মণীশ হত্যার ছক পাকাপোক্ত করা হয়েছিল, পাটনা গিয়েও সেই ব্যক্তিকে জেরা করা সম্ভব হল সিআইডি (CID) তদন্তকারীদের। ফলে পাটনা থেকে শূন্য হাতেই ফিরলেন তাঁরা। এছাড়া আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনও অন্ধকারে তদন্তকারীরা। ফলে সবমিলিয়ে, মণীশ হত্যার তদন্তে গতি কমল বলে মনে করা হচ্ছে।
দিন দশেক আগে ভর সন্ধেবেলা টিটাগড় থানার উল্টোদিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন বিজেপি (BJP) কাউন্সিলর তথা তরুণ নেতা মণীশ শুক্লা। ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন যে একটির প্রভাব রয়েছে অন্যটির উপর। অর্থাৎ ব্যক্তিগত শত্রুতাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থপূরণের ইঙ্গিত পান তাঁরা। হত্যাকাণ্ডে বিভিন্নভাবে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চান সিআইডি আধিকারিকরা।
সেই সূত্রেই উঠে আসে পাটনা জেলে বন্দি সুবোধ সিংয়ের নাম। জেলে বসে সে-ই গোটা ষড়যন্ত্র ছকে দিয়েছিল বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এমনকী খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবস্থাও করে দিয়েছিল সুবোধ। এসব তথ্য হাতে পেয়ে সিআইডির একটি দল পাটনা জেলে সুবোধকে জেরা করার জন্য যায়। কিন্তু জটিলতার জেরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ সম্ভব হয়নি। সূত্রের খবর, চলতি মাসেই বিহারে ভোটের আগে সুবোধের মতো কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে সিআইডির হেফাজতে ছাড়তে চায় না সেখানকার তদন্তকারী সংস্থা। সেই কারণেই পাটনা থেকে এবারের মতো বিফল হয়েই ফিরতে হল সিআইডি দলকে।
এছাড়া এখনও পর্যন্ত মণীশ হত্যায় ৬ শার্প শুটারদের কাউকে গ্রেপ্তার করা যয়ানি। আরেক ধৃত নাসির খান বাংলাদেশি হওয়ায় তাকে হেফাজতে পাওয়ার ক্ষেত্রে থাকছে বেশ কিছু জটিলতা। এমনই একাধিক বিষয়ে প্রতিকূলতা তৈরি হওয়ায় মণীশ শুক্লা খুনের তদন্তের গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়ল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.