ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাকপুর: টিটাগড়ের বিজেপি কাউন্সিলর মণীশ শুক্লা খুনে এবার সিআইডির (CID) জালে দুই ভাড়াটে খুনি। সূত্রের খবর, পাঞ্জাব থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম রোশন যাদব, সুজিত রাই। এতদিন এদেরই সন্ধান চালাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও, আরও কয়েকজন এখনও অধরা। এদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে দিয়ে বাকিদের খোঁজে তৎপর সিআইডি আধিকারিকরা। ট্রানজিট রিমান্ডে এনে শুক্রবার তাদের বারাকপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে।
অক্টোবরের শুরুতে এক রবিবার ভর সন্ধেবেলা প্রকাশ্য রাস্তায় তরুণ বিজেপি নেতা তথা এলাকার কাউন্সিলর মণীশ শুক্লাকে (Manish Shukla) গুলিতে ঝাঁজরা করে দেওয়া হয়। ঘটনার তদন্তভার পাওয়ার পরই জোরকদমে খুনের কিনারা করতে নেমে পড়ে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। খুনের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। খুররম খান, গুলাব শেখ নামে দুই ধৃতকে জেরা করে তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে খুনের কথাই জানতে পারেন। কিন্তু পরবর্তীতে বোঝা যায়, বিষয়টা সরল নয় মোটেও। বরং ব্যক্তিগত শত্রুতাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশত মণীশ শুক্লাকে খুন করা হয়েছে। ভাড়াটে খুনিদের কথাও জানা যায়। গোটা পরিকল্পনার মাস্টারমাইন্ড পাটনায় জেলবন্দি সুবোধ নামে একজন, জানা যায় তাও। তদন্তের মোড় অন্যদিকে ঘুরে যায়।
এরপর তদন্তের অগ্রগতির জন্য বিহারে যান সিআইডি আধিকারিকরা। কিন্তু ভোটমুখী বিহারে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বাধ্যবাধকতার কারণে তাঁরা জেলে গিয়ে সুবোধকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বাধা পান। তাকে জেরা করেই ভাড়াটে খুনিদের সন্ধান মিলত বলে ধারণা ছিল তদন্তকারীদের। ফলে বেশ কিছুদিনের জন্য মণীশ শুক্লা খুনে তদন্তের গতি শ্লথ হয়ে যায়। তবে পুজোর পর ফের তা গতি পেয়েছে পাঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে দুই ভাড়াটে খুনি ধরা পড়ায়। জানা গিয়েছে, রোশন এবং সুজিত – দু’জনের বাড়িই বিহারে। তারা ভাড়াটে খুনি হিসেবে কাজ করত। মণীশ শুক্লাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো শার্প শুটারদের মধ্যে এরা দু’জন ছিল বলে অনুমান। শনিবার তাদের টিআই প্যারেড করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.