অর্ণব আইচ ও ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: টিটাগড়ের বিজেপি কাউন্সিলর মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডে (Manish Shukla Murder) আরও একজনকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি (CID)। সুবোধ যাদব নামে তৃণমূল কর্মীকে বারাকপুর এলাকা থেকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই খবর পেয়ে বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দাবি, সুবোধ বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ (Close aide) । ফলে মণীশ শুক্লা খুনে তৃণমূল যোগ থাকার সম্ভাবনা আরও বাড়ল বলেই দাবি বিজেপির।
সিআইডি সূত্রে খবর, ধৃত সুবোধ যাদবের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, মণীশ খুনের ছক পুরোটাই জানত সে। দুষ্কৃতীদের আশ্রয়ও দিয়েছিল। এছাড়া রবিবার অর্থাৎ ঘটনার দিন বেশিরভাগ সময়ে সুবোধই গোটা অপারেশন নজরে রাখছিল, যোগযোগ রাখছিল শার্প শুটারদের সঙ্গে। তাকে জেরা করে শার্প শুটারদের সঙ্গে যোগাযোগের কথা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। আর কীভাবে মণীশ শুক্লাকে হত্যা করা হবে, তার গোটা ছক পুরোটাই জানা ছিল সুবোধের। এ নিয়ে মণীশ হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার সিআইডির হাতে যাওয়ার পর মোট ৪ জন গ্রেপ্তার হল।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে মহম্মদ খুররম খান নামে টিটাগড়ের এক ব্যবসায়ী এবং গুলাব শেখ নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি। এর মধ্যে খুররমের বাবার খুনের ঘটনায় জড়িয়েছিল মণীশ শুক্লার নাম। বছর কয়েক আগের সেই ঘটনার পর ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে খুররমই বিজেপি নেতা খুনের মূল পরিকল্পনা করেছিল বলে প্রাথমিক অনুমান ছিল তদন্তকারীদের। পরবর্তীতে নাসির খান নামে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর বুধবার রাতে ধৃত সুবোধ যাদব। এই সুবোধও বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস ঘনিষ্ঠ বলে দাবি তুলেছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা, বর্তমান বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তবে ধৃত সুবোধের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। একের পর এক সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার এবং জেরা করে গোটা হত্যাকাণ্ডের কিনারা করাই এখন মূল লক্ষ্য রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.