ছবি- অর্ণব আইচ
অর্ণব আইচ ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক-সহ দুর্গাপুর থেকে তিন কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুর্গাপুরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেনাচিতির উত্তরপল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই তিনজনকে৷ ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি পিস্তল, সাত রাউন্ড কার্তুজ-সহ ২৮০ গ্রাম হেরোইন। সিআইডি সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে৷
[ নিঝুম সোনাঝুড়ির বাড়ি, প্রিয় নেতার প্রয়াণে অঘোষিত বনধ বোলপুর-শান্তিনিকেতনে ]
সিআইডি সূত্রে আরও খবর, দুর্গাপুরে এক ব্যক্তিকে চল্লিশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে খুন করার বরাত নিয়েছিল ধৃতরা৷ জানা গিয়েছে, ধৃতরা ঝাড়খণ্ডের টাটার বাসিন্দা৷ গত তিন মাস ধরে দুর্গাপুরের উত্তরপল্লিতে ভাড়া থাকত রবি চৌরাসিয়া, অজিত কুমার ও জিতেন কুমার৷ এই তিনজনের বিরুদ্ধে বিহার ও ঝাড়খণ্ডে টাকার বিনিময়ে খুন, ব্যাংক ডাকাতি, রাহাজানি-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে প্রায় ৪০টি অপরাধমুলক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে৷ আসানসোলেও ব্যাংক ডাকাতির অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে৷
দুর্গাপুর ও আসানসোল এলাকায় বড় কোনও অপরাধ সংগঠিত করতেই এরা দুর্গাপুরে ঘাঁটি গেড়েছিল বলে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে৷ এছাড়া ধৃতরা অপহরণের সঙ্গে যুক্ত বলেও সিআইডির দাবি৷ সেই উদ্দেশ্যেই তারা দুর্গাপুরে আত্মগোপন করে ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মাদক পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে৷
[ টানা বৃষ্টিতে ফের ধস পাহাড়ে, বিপর্যস্ত শিলিগুড়ি-কালিম্পং সড়ক যোগাযোগ ]
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুর্গাপরে এদের আস্তানার হদিশ পায় সিআইডি৷ সিআইডির নারকোটিক বিভাগের আধিকারিক সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সাত সদস্যের দল তিনদিন আগে দুর্গাপুরে এসে নজরদারি শুরু করে৷ এই চক্রের অন্যতম পাণ্ডা রবি চৌরাসিয়ার শ্বশুরবাড়ি দুর্গাপুরের বেনাচিতির উত্তরপল্লির এই বাড়িতেই৷ এখানে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন তিনি৷ স্থানীয়দের ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন৷ ধৃত অজিত কুমার ও জিতেন কুমারও তার সঙ্গে এই বাড়িতেই ঘাঁটি গেড়েছিল বলে সিআইডি সূত্রে খবর৷ ধৃতদের নিয়ে রাতেই কলকাতায় চলে আসে সিআইডি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.