সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনকয়েক আগে শহরে এসেছিলেন সিবিআইয়ের বিশেষ আধিকারিক রাকেশ আস্তানা। নিজাম প্যালেসে চিটফাণ্ডের তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। বুধবার সকাল থেকে রাজ্য জুড়ে অভিযানে নামলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। কৃষ্ণনগর, কল্যাণী, জলপাইগুড়ি-সহ রাজ্যের ১৬টি জায়গায় অভিযান চলছে বলে জানা গিয়েছে।
[দিঘা যাওয়ার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত্যু ৬ পর্যটকের]
সারদাকাণ্ড নয়, সিবিআইয়ের নজরে এ রাজ্যের অন্য একটি চিটফাণ্ড সংস্থা। তদন্তকারীদের দাবি, আবাসন প্রকল্পের ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে আমানতকারীদের কাছ থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা তুলেছে ওই সংস্থাটি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে সংস্থার অফিস। বুধবার সকালে কৃষ্ণনগর, কল্যাণী, জলপাইগুড়ি-সহ ১৬টি জায়গায় একযোগে হানা দেন সিবিআইয়ের ৭০ জন আধিকারিকরা। তল্লাশি চলে সংস্থার বেশ কয়েকজন ডিরেক্টরের বাড়িতে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও তল্লাশি চলছে। তবে যে কোনও সময়ে যে সিবিআই তল্লাশি হতে পারে, তা আগাম টের পেয়ে গিয়েছিলেন ওই সংস্থার বেশ কয়েকজন ডিরেক্টর। আগেভাগেই পালিয়েছেন তাঁরা। তবে তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গিয়েছে বলে খবর।
২০১৩ সালে সারদা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরই, এ রাজ্যে চিটফাণ্ডের রমরমার বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্যামল সেনের নেতৃত্বে কমিটি গড়ে আমানতকারীদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে সারদা-সহ চিটফাণ্ড কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। দিন কয়েক আগে তদন্তের গতিপ্রকৃতি খতিয়ে দেখতে কলকাতায় এসেছিলেন সিবিআইয়ের বিশেষ আধিকারিক রাকেশ আস্তানা। তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সর্বোচ্চ কর্তার সফরের পরই ফের এ রাজ্যে চিটফাণ্ড কাণ্ডের তদন্ত গতি পেল।
[পায়ে হেঁটে নর্মদার মোহনা থেকে উৎস পরিক্রমা, অসাধ্য সাধনের লক্ষ্যে হৃদয়পুরের চন্দন]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.