সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নম্বরের টোপ দিয়ে দিনের পর দিন দুষ্কর্ম। ক্লাসরুমের মধ্যে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা। এক ছাত্রী মুখ খোলায় তাঁকে অপহরণের চেষ্টা। দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে ক্লাসরুমে তাণ্ডব। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা মধ্যেই পুলিশের জালে চুঁচুড়ার আইটিআই কলেজের গুণধর শিক্ষক অমিয় কুমার। ‘সেক্স টেপ’ কাণ্ডে ধৃত অমিয়র সঙ্গে থাকা বেশকিছু দুষ্কৃতীকে পুলিশ খুঁজছে। বুধবার সকালে অমিয়কে হুগলি স্টেশন চত্বর থেকে গ্রেপ্তার করে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। ধৃত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন, খুনের চেষ্টা, প্রতারণা, শ্লীলতাহানি, হামলা চালানো, ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। ধৃতকে এদিন চুঁচুড়া জেলা আদালতে পেশ করা হয়।
মঙ্গলবার চুঁচুড়া আইটিআই কলেজে সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের নিয়ে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে অমিয় কুমারের বিরুদ্ধ। এঘটনার কথা জানার পরই অভিযুক্ত শিক্ষককে দ্রুত গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী অসীমা পাত্র। পুলিশ জানিয়েছে, শিক্ষকের অশালীন আচরণ ও কুপ্রস্তাবের প্রতিবাদ জানিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল পড়ুয়াদের একাংশ। এরপরই দুষ্কৃতীদের নিয়ে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ছাত্রছাত্রীদের বেধড়ক মারধর করেন ওই শিক্ষক। রীতিমতো আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ছাত্রছাত্রীদের হুমকি দেয় শিক্ষকের সঙ্গে থাকা দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল।
এদিন তার গ্রেপ্তারির খবর অবশ্য কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় ভাল নম্বর পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে যৌন লালসা মেটানোর অভিযোগ রয়েছে। এমনকী সেই যৌন লালসার ভিডিও রেকর্ড করে ওই শিক্ষক। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে। একাধিক ছাত্রীকে এই কুপ্রস্তাব দিয়েছিল অভিযুক্ত। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই যে অমিয় পালানোর চেষ্টা করবে তা অনুমান করেছিল পুলিশ। তাই রেল স্টেশন চত্বরে নজরদারি চালানো হয়েছিল। পুলিশের ফাঁদে ধরা পরে অমিয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.