ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: ভারতীয় সংস্কৃতি জানতে রবীন্দ্রনাথের পাশাপাশি মহাভারতের ক্লাস করলেন চিনা ছাত্রছাত্রীরা। জানতে চাইলেন, মহাভারতের একাধিক চরিত্রের কথা। ধর্মযুদ্ধে রাজনৈতিক বুদ্ধিতে কৃষ্ণ কীভাবে মহাভারতের যুদ্ধ জিতেছিলেন, অবাক হয়ে শুনলেন তাঁরা। শান্তিনিকেতন ঘুরে দেখলেন প্রকৃতির মধ্যে গুরুদেবের আধুনিক শিক্ষার এক অন্য রূপ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৮ সালে চিন সফরে সব থেকে গুরত্ব দিয়েছিলেন দুই দেশের যুবসমাজের মধ্যে সংস্কৃতি এবং শিক্ষার আদানপ্রদানে। গঠিত হয় সাংস্কৃতিক ফোরাম। আর প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নকে বাস্তব করতে এবং চিন এবং ভারতের সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১১ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং চিনের কুনমিং প্রদেশের ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর হয়। তারপর থেকে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষা বিষয়ক ভ্রমণ করে থাকে। চলতি সপ্তাহে ইউনান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪০ জনের একটি প্রতিনিধিদল বিশ্বভারতীতে এসেছে। এই সফরের সময় তাঁরা বিশ্বভারতীর বিভিন্ন ভবন পরিদর্শনের করে। ভারতীয় সংস্কৃতি এবং সংস্কারের বিষয়ে তাঁদের অবহিত করতে বিশ্বভারতীর চিনাভবন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং শান্তিনিকেতনের উপর ক্লাসের পাশাপাশি মহাভারতের একটি ক্লাসের আয়োজন করে। ছাত্রছাত্রীরা মহাভারতের মধ্য দিয়ে ভারতের পুরনো সংস্কৃতি এবং তখনকার মানুষের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার কথাও জানতে পারেন। এছাড়াও চিনা ছাত্রছাত্রীরা ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বনভোজনে যোগ দেয়। চিন দেশে এই ধরনের বনভোজনের রীতি নেই।
এই বিষয়ে চিনা ছাত্রী পাওমিন বলেন, “এই সফরের মধ্যে দিয়ে ভারতের সংস্কৃতি এবং ছাত্রছাত্রীদের সংস্কার সম্বন্ধে অবহিত হলাম। আশা করি এই ধরনের সাংস্কৃতিক আদানপ্রাদানের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে।’’এই সফরে খুশি চিনারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.