ব্রতীন দাস, শিলিগুড়ি: শিশুপাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত চন্দনা চক্রবর্তীর এবার কলকাতায় নয়া দুই ঘাঁটির হদিশ মিলল৷ কৈখালি ও তেঘড়িয়ায় চন্দনার দু’টি ঠিকানার খোঁজ পেয়েছে সিআইডি৷ যার মধ্যে কৈখালিতে রয়েছে একটি আবাসন এবং তেঘড়িয়ায় ভাড়া বাড়ি৷ সেই এগ্রিমেন্টে প্রথম নাম তাঁর ছেলের থাকলেও দ্বিতীয় নামটি রয়েছে চন্দনার৷ দু’টি বাড়ির উপরেই নজর রেখেছেন রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশের কর্তারা৷
এদিকে, দুই ঘাঁটির হদিশ মিলতেই নতুন প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে৷ তাহলে কি কলকাতাতেও ছড়িয়ে রয়েছে চন্দনার শিশুপাচার চক্রের জাল? সিআইডি সূত্রে খবর, প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার পরিচয়কে সামনে রেখে তেঘড়িয়ার বাড়িটি ভাড়া নেন চন্দনা৷ বলেন, নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তান পাইয়ে দিতে হোম রয়েছে তাঁর৷ বাড়ির মালিকের ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা রয়েছে৷ তাঁর কাছ থেকে গাড়িও ভাড়া নিয়েছিলেন চন্দনা৷ কিন্তু কেন? তারই উত্তর খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা৷ কৈখালি ও তেঘড়িয়ার বাড়িতে চন্দনা মাঝেমধ্যেই আসতেন বলে জানতে পেরেছে সিআইডি৷
ইতিমধ্যেই চন্দনার সংস্থার পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে৷ কারবারে মার্কিন ডলার লেনদেনের হদিশ পেয়েছেন রাজ্যের গোয়েন্দারা৷ ফ্রান্স, স্পেন ও আমেরিকা থেকে ওই সমস্ত অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে বলে দাবি সিআইডি-র৷ এদিকে, এই শিশু পাচারের শিকড় ঝাড়খণ্ড, এমনকী দুবাইয়ে ছড়িয়ে রয়েছে বলেও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে৷ ঘটনার তদন্তে দিল্লিতে নজর রাখছে সিআইডি৷ আগেই এই ঘটনার সঙ্গে ‘প্রভাবশালী’ যোগ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল৷ এবার সচিব পর্যায়ের আধিকারিকের সঙ্গেও যোগসূত্রের ইঙ্গিত মিলছে৷ তবে এখনই এনিয়ে মুখ খুলতে নারাজ তদন্তকারীরা৷ জুহি ও চন্দনার যে নর্থ ব্লকে যাতায়াত ছিল তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত৷ সিআইডি-র দাবি, শুধু ওই দু’জন নন৷ তাঁদের সঙ্গে আরও একজন রয়েছেন৷ মনে করা হচ্ছে, তাঁর হাত ধরেই ঘন ঘন নর্থ ব্লকে যাতায়াত ছিল জুহি-চন্দনাদের৷ কিন্তু কে সেই প্রভাবশালী, যাঁর নাম উল্লেখ থাকলেও গেট পাসে ছবি নেই! উত্তর খুঁজতে মরিয়া সিআইডি কর্তারা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.