Advertisement
Advertisement
কালনা

সাক্ষী জোগাড়ে ব্যর্থ সরকারি আইনজীবী, বেকসুর খালাস নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহে অভিযুক্ত

আদালতের নির্দেশে, অভিযুক্তকেই ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবেন জেলাশাসক৷

Child molester walks free due to lack of evidence in Kalna

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 12, 2019 9:28 am
  • Updated:July 12, 2019 9:22 pm  

রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: স্থানীয় এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের মামলায় অভিযুক্ত যুবক৷ গ্রেপ্তারি এড়াতে আগাম জামিনে জেলের বাইরে রয়েছে সে৷ সঠিক বিচারের আশায় দীর্ঘদিন ধরে বুক বাঁধছিল নির্যাতিতার পরিবার৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার আশাহত হলেন তাঁরা৷ অভিযোগ, সরকারি আইনজীবীর ব্যর্থতায় নির্দিষ্ট দিনে আদালতে পৌঁছল না কোনও সাক্ষী৷ ফলে রেহাই পেয়ে গেলেন অভিযুক্ত৷ বরং ওই যুবককে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি করার জন্য, জেলাশাসককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কালনা আদালতের আইনজীবী৷ যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলাজুড়ে তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক৷

[ আরও পড়ুন: লক্ষ্য জল সংরক্ষণ, ১০০ দিনের প্রকল্পে নার্সারিতে গাছের চারা তৈরি পূর্ব বর্ধমানে]

Advertisement

আদালত সূত্রে খবর, ২০১৮-র মে মাসে কালনা থানার মুক্তারপুরের বাসিন্দা ধ্রুব পাত্র নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে, স্থানীয় এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। ২০১৮-র ২৭ মে ওই নাবালিকার বাবা কালনা থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কালনা থানার পুলিশ মামলা রুজু করে। কিন্তু তারপরেও গ্রেপ্তার করা যায়নি অভিযুক্তকে। গ্রেপ্তারি এড়াতে আগাম জামিন নেয় ওই যুবক। জানা গিয়েছে, এরপর কালনা আদালতে মামলার শুনানি চলছিল। চলতি বছরের ২০, ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি ছিল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন। তারপর মার্চ ও জুলাই মাসেও দিন পড়েছিল। অভিযোগ, সাক্ষ্য গ্রহণের দিনগুলিতে অভিযুক্ত ধ্রুব পাত্রর বিরুদ্ধে কোনও সাক্ষী আদালতে হাজির করতে পারেননি সরকারি আইনজীবী।

এমনকী, বৃহস্পতিবারও বিচারক তপন কুমার মণ্ডলের এজলাসে অভিযুক্তের বিপক্ষে কোনও সাক্ষী হাজির করাতে ব্যর্থ হন তিনি। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে৷ প্রমাণের অভাবে ওইদিন অভিযুক্তকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন বিচারক। সূত্রের খবর, ধ্রুব পাত্র নামের ওই যুবককে হয়রানি ও তাঁর মানহানির জন্য, উলটে জেলাশাসককে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক৷ রায় শুনে সরকারপক্ষের আইনজীবী অরিন্দম বাজপেয়ী বলেন, ‘‘মাননীয় আদালতের রায় শুনেছি। আমরা উচ্চতর আদালতে আবার আপিল করব।” অভিযুক্ত ধ্রুব পাত্রর আইনজীবী গৌতম গোস্বামী ও দেবরাজ রায় বলেন, “আমাদের প্রথমই থেকে সন্দেহ ছিল যে আমার মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনার সাতদিন পরে অভিযোগ হয়েছিল। এমনকী, ঘটনার সত্যতা কিছু নেই। সেইজন্য কোনও সাক্ষী হাজির হয়নি। অভিযোগকারীদের আগ্রহও ছিল না মামলা নিয়ে। সেটা আদালতে প্রমাণ হয়েছে। তাই এই রায় দিয়েছে আদালত।” যদিও বৃহস্পতিবারের এই রায়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে আইনজীবী মহলে। অভিযোগ করেও কেন সাক্ষী দিতে কেউ হাজির হলেন না বা তাদের হাজির করানো গেল না, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement