Advertisement
Advertisement

একরাতে ৭ জন নাবালিকার বিয়ে আটকাল প্রশাসন, অভিভাবকদের সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন

বিয়ের মরশুমে আরও সচেতনতার প্রচার করবে জেলা প্রশাসন।

Child marriage prevented

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tanujit Das
  • Posted:November 19, 2018 7:26 pm
  • Updated:November 19, 2018 7:26 pm  

রাজা দাস, বালুরঘাট: চাইল্ড লাইন ও প্রশাসনের তৎপরতায় রক্ষা পেল সাত নাবালিকার শৈশব৷ রবিবার রাতে গোপন অভিযান চালিয়ে ওই সাত নাবালিকার বিয়ে আটকাল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও পুলিশ৷ ঘটনাগুলি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমুন্ডি, বালুরঘাট-১, কুমারগঞ্জ-১ ও গঙ্গারামপুর-১ ব্লকে৷ এরমধ্যে, কুশমুন্ডি ব্লকেই বিয়ে হচ্ছিল চারজন নাবালিকার৷ এই ঘটনা চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের৷ শিশু ও মেয়েদের অধিকার রক্ষার্থে সচেতনতার প্রচার চালালেও, তা কোনও কাজে আসছে না দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আধিকারিকরা৷

[মুক্ত সংশোধনাগার দেখাচ্ছে আশার আলো, সৎ পথে ফিরছে সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা]

Advertisement

জানা গিয়েছে, কুমারগঞ্জের উত্তর করনজি এলাকায় ১৫ বছরের এক নাবালিকার বিয়ে দিচ্ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা৷ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওই নাবালিকা নবম শ্রেণির পড়ুয়া৷ প্রশাসনের আধিকারিকরা এক নাবালিকাকে উদ্ধার করেন কাশিয়াডাঙ্গার উথলিয়া এলাকা থেকে৷ ১৪ বছর বয়সের ওই নাবালিকা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী৷ উদ্ধার হওয়া আরও দুই কুশমুন্ডির শিয়ালা এলাকার বাসিন্দা। তাদের বয়স যথাক্রমে, ১৩ বছর ও ১৭ বছর। এরা স্থানীয় কুশমুন্ডি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী৷ উদ্ধার হওয়া বাকি নাবালিকাদের বয়স যথাক্রমে ১৬ বছর, ১৭ বছর ও ১৫ বছর৷ জেলা চাইল্ড লাইন কর্তারা জানাচ্ছেন, অগ্রহায়ণ পড়তেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের উৎসব এবং তাঁদের নজরদারির পালা৷ বিয়ের মরশুমে জেলার প্রতিটি ব্লকে তীক্ষ্ণ নজর রাখা হচ্ছে৷ রবিবার গোপন সূত্রে এই সাত নাবালিকার বিয়ের খবর আসে তাঁদের কাছে৷ সেই খবর অনুযায়ী, রাতে চারটি আলাদা আলাদা এলাকায় অভিযান চালান তাঁরা এবং বিয়ের আগেই উদ্ধার করেন ওই সাতজন নাবালিকাকে৷ উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহণ করেন, চাইল্ড লাইন আধিকারিক, জেলা ও ব্লক প্রশাসনের কর্মী, জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের আধিকারিকরা।

[স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের জের! হাসপাতালেই আত্মঘাতী ঠিকাকর্মী]

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা চাইল্ড লাইনের কো-অর্ডিনেটর সুরজ দাশ জানান, “এটা বড় সাফল্য৷ তবে উদ্বেগেরও বিষয়৷ কারণ, এত সংখ্যক নাবালিকার বিয়ের ঘটনাই প্রমাণ করে অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে৷ অথচ, মানুষকে সচেতন করার জন্য বহু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷” অভিভাবকদের আরও সচেতন করতে এলাকার স্কুলগুলিতে এবার নিয়মিত ক্যাম্প করা হবে বলে জানান সুরজ বাবু। এই সমস্যার অন্যতম কারণ হিসাবে আর্থিক অনটনকেই দায়ী করছেন প্রশাসনের কর্তারা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement