ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহিলা এবং শিশুদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের পরিসংখ্যানে আগে থেকেই তলানিতে ছিল বাংলা। এবার যুক্ত হল নতুন লজ্জার পরিসংখ্যান। নাবালিকা বিবাহের হার দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এই বাংলাতেই। বিহার, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের মতো গোবলয়ের রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে নাবালিকা মেয়েদের বিয়েতে দেশের মধ্যে শীর্ষে এরাজ্য। ১৫-১৯ বছরের মেয়েদের বিয়ের সংখ্যার বিচারে গোবলয়ের রাজ্যগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। এই মুহূর্তে বাংলার ১৫-১৯ বছরের মধ্যে ২৫.৬ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।
উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে একসময় বাল্যবিবাহ প্রথার ব্যাপক চল ছিল। এমনকী এখনও বেশ কিছু উপজাতির মধ্যে বাল্যবিবাহের চল রয়েছে। তাই গোবলয়ের রাজ্যগুলিতে বাল্যবিবাহের হার বেশি হবে এমনটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু, হত ১০ বছরে শিক্ষার প্রসার এবং আর্থিক স্বচ্ছলতা গোবলয়ের রাজ্যগুলিতে বাল্যবিবাহের হার কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। ২০০৫-০৬ সালে নাবালিকা বিবাহের নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম ছিল বিহার। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ঝাড়খণ্ড, তৃতীয় স্থানে ছিল রাজস্থান। বিহারে ১৫ থেকে ১৯ বছরের মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার হার ছিল ৪৭.৮ শতাংশ। ঝাড়খণ্ডের ছিল ৪৪.৭ শতাংশ এবং রাজস্থানের ছিল ৪০.৪ শতাংশ। বাংলা ছিল চতুর্থ স্থানে। এরাজ্যের প্রায় ৩৪ শতাংশ মেয়েদের বিয়ে হত ১৯ বছরের কম বয়সে। গত দশ বছরে সার্বিকভাবেই গোটা ভারতে কমেছে নাবালিকা বিবাহের হার। সবচেয়ে চমকপ্রদ ফল করেছে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ। বিহারে এই মুহূর্তে মাত্র ১৯.৭ শতাংশ নাবালিকার বিয়ে হয়। উত্তরপ্রদেশে নাবালিকা বিবাহর হার ৬.৪ শতাংশ। ঝাড়খণ্ডে ১৭.৮ শতাংশ, রাজস্থানে ১৬.২ শতাংশ নাবালিকার বিবাহ হয়। এদের টপকে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গে নাবালিকার বিবাহর হার ২৫.৬ শতাংশ। অন্য রাজ্যগুলি উন্নতি করলেও বাংলা সেভাবে উন্নতি করতে পারেনি। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
জেলাভিত্তিক ফলেও, শীর্ষে রয়েছে এরাজ্যেরই এক জেলা। মুর্শিদাবাদে (৩৯.৯ শতাংশ) নাবালিকা বিবাহের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় স্থানে মোদির রাজ্যের গান্ধীনগর (৩৯.৩ শতাংশ), তৃতীয় স্থানে রাজস্থানে বিলওয়ারা (৩৬.৪ শতাংশ)। পরিসংখ্যান বলছে, গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলে নাবালিকা বিবাহের প্রবণতা কমছে। শিক্ষিত পরিবারে এই সংখ্যাটা আরও কম। তবে, মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার জন্য আর্থিক স্বচ্ছলতা অনেকটাই দায়ী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.