দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: শিশুমৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর এলাকা। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে শনিবার সকালে এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা।সোনারপুর থানার পুলিশের উপস্থিতিতে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। এদিনের ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের বাসিন্দা বছর চারেকের সুদর্শন বারিক। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে খুঁড়িগাছি এলাকায় রাস্তার পার হচ্ছিল ওই শিশু। সেই সময় আচমকা উলটো দিক থেকে আসা একটি টোটো ধাক্কা দেয় সুদর্শনকে। গুরুতর জখম হয় শিশুটি। তড়িঘড়ি শিশুর পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সোনারপুরের ঘাসিয়াড়া এলাকার একটি নার্সিংহোমে ভরতি করে। সেখানেই শুরু হয় তার চিকিৎসা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিল না সুর্দশন। সেইসঙ্গে ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে তার। এরপরই নার্সিংহোমের তরফে তাকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী সুদর্শনকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন তার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু পৌঁছানোর আগে পথেই মৃত্যু হয় ওই শিশুর।
সুদর্শনের মৃত্যুতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিশুর পরিবার ও স্থানীয়রা। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে দীর্ঘক্ষণ ঘাসিয়াড়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় মৃতের পরিবারের সদস্যরা। নার্সিংহোমে ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। নার্সিংহোম মারফত খবর পেয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় সোনারপুর থানার পুলিশ। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, “চিকিৎসকরা চেষ্টা করলে বাঁচানো যেত সুর্দশনকে।” পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, “ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। অবিলম্বে তদন্ত শুরু হবে।” তবে যে টোটোর ধাক্কায় আহত হয়েছিল সুর্দশন, তার চালকের হদিশ মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.