টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ফের ভুল ইঞ্জেকশনে শিশুমৃত্যুর অভিযোগ। এবার বাঁকুড়ায়। ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মৃতদেহ বিষ্ণুপুর হাসপাতালে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন পরিবারের লোকেরা। শেষ খবর অনুযায়ী, এখনও বিক্ষোভ চলছে। এই ঘটনা নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
[মাছের ভেড়ির দখল ঘিরে রণক্ষেত্র হাড়োয়া, গুলিবিদ্ধ দুই]
গত সোমবার পেটে ব্যথা নিয়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপর হাসপাতালে ভরতি হয় এক বছরের জয় রানা। শহরের তিলবাড়ি এলাকায় থাকে সে। চিকিৎসায় সেরে উঠেছিল জয়। বৃহস্পতিবার তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। পরিবারের লোকেদের জানিয়েছেন, ডিসচার্জ সার্টিফিকেট হাতে পেয়েও গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, ছেলেকে আর বাড়ি নিয়ে যেতে পারলেন না! তাঁদের অভিযোগ, ছাড়ার ঠিক আগের মুহুর্তে জয়কে একটি ইঞ্জেকশন দেন বিষ্ণপুর হাসপাতালে চিকিৎসকরা। কিন্তু, ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে শিশুটি। শেষপর্যন্ত, মারা যায় সে। এরপরই তুমল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাসপাতালে। শিশুটির মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পরিবারের লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ, শিশুটিকে ভুল ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তাই মারা গিয়েছে সে। শেষ খবর অনুযায়ী, এখনও বিক্ষোভ চলছে হাসপাতালে। তবে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি বিষ্ণুপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মাস ছয়েক আগে মুকুন্দপুরের আমরি হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল কলকাতায়। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ ছিল, ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার কারণে বছর আড়াইয়ের ওই শিশুকন্যাটির শারীরিক অবস্থা অবনতি হয় এবং কিছুক্ষণ পর মারা যায় সে। যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছিল আমরি কর্তৃপক্ষ। তাদের পালটা দাবি, অভ্যন্তরীণ তদন্তে গাফিলতির কোনও প্রমাণ মেলেনি। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্তের দাবি জানানো হয়। গত মাসেই আবার ভুল ইঞ্জেকশনে এক কিশোরের মৃত্যু অভিযোগ উঠেছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। যদিও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্তের প্রস্তাবে রাজি হয়নি মৃতের পরিবারের লোকেরা।
[ ক্যারম বোর্ডের ভাড়া নিয়ে বিবাদ, গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু বৃদ্ধের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.