রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: বিরল এক ঘটনার সাক্ষী থাকল নন্দীগ্রামের চণ্ডীপুর। বুধবার এলাকার একটি হাসপাতালে অদ্ভুত দর্শন এক শিশুর জন্ম দেন এক মহিলা। জানা গিয়েছে, সদ্যোজাতের শরীরে রয়েছে দুটি মাথা। যদিও পৃথিবীতে আসার পর বেঁচে থাকতে পারেনি৷ জন্মের আধ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ওই সদ্যোজাতের।
পূ্র্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের বাসিন্দা জাহানারা বিবি। কয়েক বছর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা মণিরুল হকের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই মহিলার। এক কন্যাসন্তানের মা জাহানারা দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্বা অবস্থায় নন্দীগ্রামের বাবুখাঁনবার গ্রামে বাপের বাড়িতে চলে যান৷ বুধবার রাত ৯ টা নাগাদ ওই এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শিশুটিকে আর পাঁচটি শিশুর মতো ছিল না ওই সদ্যোজাত। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দুটি মাথা, দুটি পা ও দুটি হাত নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল ওই শিশু। জানা গিয়েছে, জন্মের সময় তার ওজন ছিল সাড়ে তিন কিলোগ্রাম। যা স্বাভাবিকের কিছুটা বেশি।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, জন্মের আধ ঘণ্টার পরেই মৃত্যু হয়েছে ওই সদ্যোজাতের। বৃহস্পতিবার দেহটি নিয়ে বাড়ি যান পরিবারের সদস্যরা। খবর ছড়িয়ে পড়তেই মৃত শিশুটিকে দেখতে ভিড় জমান স্থানীয়রা। সম্ভবত, পূর্ব মেদিনীপুরে এধরণের ঘটনা এই প্রথম। তবে এর আগে রাজ্যে এমন বিকৃত চেহারা নিয়ে শিশুর জন্মের নিদর্শন আছে৷ গত বছরের শেষ দিকে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে দুটি মাথা নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল এক শিশু। তার তিনটি হাতও ছিল। জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছিল ওই শিশুর। এছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য জায়গায়ও এধরনের ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে। অনেকক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, দুই যমজ সন্তান জোড়া অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়েছে। সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁদের বাঁচানোও সম্ভব হয়েছে। তবে এই সাফল্য অনুপাতে অনেকটাই কম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.