প্রতীকী ছবি।
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: পাঁচ বছর বয়সি শিশু নাকি মসকরা করেছিল তাঁর সঙ্গে। আর এটা মেনে নিতেই পারেননি যুবক! আর তাই ‘শাস্তি’ হিসাবে হাত-পা বেঁধে তাকে পিঁপড়ের চাকের মধ্যে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। অমানবিক এমনই এক ঘটনা ঘটেছে শান্তিপুরে। শুক্রবার শিশুটিকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যুবকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানিয়েছে পরিবার।
শান্তিপুরের হরিপুর পঞ্চায়েতের সাহেবডাঙা গ্রামের বাসিন্দা জসিদ আলি ধাবক। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি ও তাঁর স্ত্রী রেজিনা বিবি ছেলে রাজীবকে খুঁজে না পেয়ে এলাকায় তল্লাশি শুরু করেন। সেই সময় অভিভাবকরা তাকে বাড়ির কাছে মাঠ সংলগ্ন এলাকায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পিঁপড়ের চাকের উপর পড়ে থাকতে দেখেন।
কী করে এই অবস্থা হল? শিশুটি তাঁর মাকে জানায়, প্রতিবেশী ইসমাইল তাকে পিঁপড়ের চাকে ফেলে দেন। সাইফুল নামে আর এক যুবক এই কাজে সাহায্য করে বলে অভিযোগ। এমনকী বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বিষয়টি দাঁড়িয়ে দেখেছেন বলে মাকে জানিয়েছে শিশুটি। বাচ্চাটির বাবা জসিদ আলি বলেন, “মাঠে কাজ করছিলাম। সেই সময় খবর আসে ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না। খোঁজাখুঁজির পর ওকে পিঁপড়ের চাকের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখি। জিজ্ঞাসা করলে বলে পাশের বাড়ি ইসমাইল ওই ভাবে ফেলে রেখেছিল।”
অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত একই পাড়ার বাসিন্দা হওয়ায় ঘটনার রাতেই নিজেদের মধ্যে মীমাংসার চেষ্টা করে এলাকাবাসী। শুক্রবার সকালে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে খবর যায় পুলিশে। থানায় অভিযোগ জানিয়েছে পরিবার। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.