রাজ্যে একের পর এক বিভিন্ন স্কুলে মিড-ডে মিলের বেহাল দশার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। কোথাও আবার দেখা গিয়েছে নিজেদের গাঁটের কড়ি খরচ করে খুদেদের পেটভরে খাওয়াচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। কী অবস্থা রাজ্যের বাকি স্কুলগুলির? চালচিত্র দেখতে পৌঁছে গেল সংবাদ প্রতিদিন.ইন।
নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: সাম্প্রতিক সময়ে স্কুলে মিড-ডে মিল খাওয়ানো নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যখন নানা বেনিয়মের অভিযোগ উঠছে, এরই মধ্যে ব্যতিক্রম বাগদার হেলেঞ্চা উচ্চ বিদ্যালয়। সরকারি নির্দেশিকা মেনে স্কুলে মিড-ডে মিল খাওয়ানোর পাশাপাশি নিয়মিত পড়ুয়াদের জন্য মাংসের ব্যবস্থা করা হয় ওই স্কুলে৷ বিভিন্ন মরশুমে ফল, দুধ-কলাও দেওয়া হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়মিত এই মিড-ডে মিলের কারণেই বাড়ছে স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যাও।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বিদ্যালয়ের মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৫০১ জন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া। সেই কারণে স্কুলে তাদের জন্য যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যকর মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা করা হয়। ভাত-সবজি-ডিম-মরশুমের ফলের পাশাপাশি মাসে একদিন মাংসের আয়োজন করা হয় পড়ুয়াদের জন্য। শুধু খাওয়াই নয় পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের দিকেও নজর রাখে স্কুল। খেতে বসার আগে প্রত্যেক পড়ুয়া যাতে হাত ধুয়ে খায় সেদিকেও নজর রাখা হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু বিশ্বাস জানিয়েছেন, মিড-ডে মিলের টানেই পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে স্কুলে। এক পড়ুয়া জানায়, “ডাল, ভাত, সবজি, ডিম সব খাওয়ানো হয় আমাদের।” স্কুলের এই ভুমিকায় খুশি অভিভাবকরাও।
কিন্তু সরকারের থেকে পাওয়া টাকায় সাধারণ মিড-ডে মিল দিতেই যেখানে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলগুলির হিমশিম দশা। সেখানে কী করে এই স্কুল এত আয়োজন করে? এই প্রশ্ন করতেই স্কুলের এক শিক্ষক প্রবীর কীর্তনিয়া বলেন, এই আয়োজন করতে বেশ কষ্টই হয় তাঁদের। কিছু দরিদ্র পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে এই আয়োজন করা হয়। গ্রামের দিকে স্কুলছুট একটা বড় সমস্যা, সেখানে মিড-ডে মিলের মাধ্যমে পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করার পরিকল্পনা সত্যিই প্রশংসনীয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.