সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: সস্ত্রীক শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন সদ্য জেল মুক্ত ছত্রধর মাহাতো। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তাঁরা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা শুরু রাজনৈতিক মহলে। তবে কী সত্যিই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন ছত্রধর? এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সব মহলে।
শনিবার ঝুমুর মেলার উদ্বোধনে ঝাড়গ্রামে যান শিক্ষামন্ত্রী তথা ঝাড়গ্রাম জেলার পর্যবেক্ষক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উদ্বোধনের পর ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির টুরিস্ট কমপ্লেক্সে দলীয় বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে তার আগেই সস্ত্রীক ছত্রধর মাহাতো শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে হাজির হন। ফলে দলীয় বৈঠকের আগেই ছত্রধরের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন তিনি। কিন্তু সেখানে ঠিক কী আলোচনা হল? এই প্রশ্নের উত্তরে ছত্রধর মাহাতো বলেন, “পার্থবাবুর সঙ্গে এটা নিতান্তই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ। উনি দীর্ঘদিনের বন্ধু। ঝাড়গ্রামে এসে ফোন করেছিলেন। আমি বলেছিলাম দেখা করব। তাই আসা, কথা হয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু নয়।”
এ বিষয়ে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দেখা করলাম। যখন আন্দোলন করতে এখানে আসতাম তখনও ওর সঙ্গে দেখা হতো। কেমন আছে খোঁজখবর নিলাম। অনেক দিন পর দেখা করে ভালই লাগল। এগারো বছর পর ফিরেছে। একটু আলো দেখুক। আলো দেখেই বুঝতে পারবে। ওতো বলেছে রাস্তাঘাট দেখে চিনতেই পারছে না। এত সুন্দর কাজ হয়েছে। ও ঠিক করুক কী করবে। আমাদের প্রস্তাবের কি আছে? প্রথম দিনই আর কী বলব ওনাকে। পরিবারের সঙ্গে কিছুদিন কাটাক। আমরা তো বৃহত্তর পরিবার।” পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যেই বাড়ছে জল্পনা। প্রসঙ্গত, জেল থেকে মুক্ত হয়ে নিজের এলাকায় ফিরতেই আবেগপ্রবণ হয়ে ছত্রধর জানিয়েছিলেন, মানুষের পাশে থেকে তিনি কাজ করে যেতে চান। সেই থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল যে তিনি রাজনীতির মূল স্রোতে ফিরবেন কি না? যোগ দেবেন কি না রাজ্যের শাসকদলে? এদিনের বৈঠকের পর সেই প্রশ্নই আরও জোরালো হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.