সুবীর দাস, কল্যাণী: ঝাঁটা মেরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের এলাকা ছাড়া করার পরামর্শ দিলেন চাকদহের তৃণমূল বিধায়ক রত্না ঘোষ কর। সম্প্রতি নদিয়া জেলার চাকদহে আয়োজিত দলীয় কর্মিসভায় গিয়ে ওই পরামর্শ দেন তিনি। তাঁর বক্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট হওয়ার পরেই ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই নদিয়ার জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাট লোকসভা থেকে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন প্রয়াত বিধায়ক সত্যজিতের স্ত্রী রূপালি বিশ্বাস। তাঁর সমর্থনে চাকদহের তৃণমূল বিধায়ক রত্না ঘোষ কর স্থানীয় এলাকায় একটি কর্মিসভার আয়োজন করেছিলেন। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে যুদ্ধজয়ের জন্য কোনও কিছুই অনৈতিক নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, “যদি আপনি কোনও যুদ্ধ জিততে চান। তাহলে ভুল বা ঠিক বলে কিছু নেই। গণতান্ত্রিক বা অগণতান্ত্রিক যে কোন উপায়েই আপনাকে যুদ্ধটা জিততে হবে। যুদ্ধ জেতার জন্য কোনও নীতি বা গণতন্ত্র মানার দরকার নেই। আপনি যদি জিততে চান তাহলে যে কোনও উপায়ে সেই ইচ্ছাপূরণ করতে হবে। তাই যেখানে যে পদ্ধতিতে পারবেন, জিতবেন।”
এরপরই ২০১৬ সালের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা আমাদের ছেলেদের কীভাবে মেরেছিল, তা আমি নিজের চোখে দেখেছি। রক্তাক্ত হয়েছিল তারা। এবার চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি কঠিন। তবে, তাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। লোকসভা ভোটের দিন এই কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে যাব আমি। কেন্দ্রীয় বাহিনী কিছু করতে এলে পাত্তাই দেব না আমরা। তবে, যদি ওরা অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে তাহলে আমি মহিলা মোর্চার সদস্যদের হাতে ঝাঁটা তুলে নেওয়ার অনুরোধ করব। তারপর সেই ঝাঁটা নিয়েই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের এলাকাছাড়া করবেন।”
তৃণমূলের সন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করে গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। পঞ্চায়েতের মতো লোকসভাতেও যাতে তারা সন্ত্রাস না চালাতে পারে সেজন্য প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর দাবিও করেন। গত শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ও একই দাবি জানিয়ে ছিলাম আমরা। তারপর আমরা সবাই দেখেছি তৃণমূল কী করেছে। এবারও প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার পাশাপাশি সিসিটিভি লাগানোর দাবি জানানো হয়েছে বিজেপির তরফে।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.