রিন্টু ব্রহ্ম, কালনাঃ কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরির চেষ্টা। ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়াল কালনা থানার কল্যাণপুরের শ্রীরামপুর গ্রামে। স্থানীয়দের অনুমান, কবর থেকে কঙ্কাল চুরির উদ্দেশ্যেই ওই কবর খোঁড়া হয়েছিল। যদিও বিষয়টি নিয়ে ধন্ধে পুলিশ। নিশ্চিতভাবে কেউই বলতে পারছেন না কী উদ্দেশ্যে এই মাটি খোঁড়া হয়েছিল। পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এনিয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনার দক্ষিণ শ্রীরামপুর ও উত্তর শ্রীরামপুরের মাঝে রয়েছে শতবর্ষ পেরনো একটি কবরস্থান। দুই গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনের মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হয় ওই কবরখানায়। মঙ্গলবার সকালে আচমকাই গ্রামবাসীদের কয়েকজনের চোখে পড়ে, ওই কবরের মাটি খোঁড়া। তাতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই কবরস্থানটি যিনি দেখভাল করেন, সেই মাতোয়ালি আব্বাস শেখ জানান, ‘সোমবার রাত্রে কয়েকজন দুষ্কৃতী কবরস্থানে ঢুকে দু-একটি কবরের সামনের দিকে খুঁড়েছে। আমাদের এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা সকালে কাঠ কুড়োতে এসে কবরের একটি অংশের মাটিতে গর্ত দেখতে পায়। যা দেখে তাঁদের অনুমান, এই কবর থেকে কঙ্কাল চুরির চেষ্টা হয়েছিল।’ এদিন সকালেই কালনা থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। খবর পেয়ে কালনা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শান্তুনু চৌধুরী গিয়ে এই কবরস্থান পরিদর্শন করেন। তিনি দেখেন, চারটি কবর খোঁড়া, যেখানে মাত্র কয়েক মাস আগেই মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল। তা দেখে পুলিশের অনুমান, এই ঘটনার সঙ্গে কোনও দুষ্কৃতীমূলক কাজ জড়িয়ে রয়েছে।
মর্মান্তিক! সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু গৃহবধূর
যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে আংশিকভাবে খোঁড়া কবরগুলি থেকে কোনও কঙ্কাল চুরি হয়নি। তবে এ বিষয়ে পুলিশের কাছে আরও একটি তথ্য এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকারই পাশের গ্রাম রাহাতপুরে গত সোমবার এক আদিবাসী যুবক কবরের মাটি খুঁড়ছিলেন। ওই এলাকার মাটি খুঁড়ে গন্ধগোকুল ধরতে চাইছিলেন বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন। স্থানীয়রা তা দেখে যুবককে প্রথমে আটকে রাখলেও, পরে ছেড়ে দেন। এই ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। তদন্তকারীদের ধরনা, হয়তো ধরা পড়ার ভয়ে ওই যুবক রাতের অন্ধকারেই গন্ধগোকুল খুঁজতে গিয়েছিলেন। আপাতত ওই যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
ছবি: মোহন সাহা
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.