ছবি: প্রতীকী
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বিজেপির (BJP) সাংগাঠনিক বৈঠকে চরমে বিশৃঙ্খলা। গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে প্রথমে বচসা ও পরে হাতাহাতিতে জড়ায় বিজেপি কর্মীরা। উপস্থিত নেতৃত্বও বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে পারেনি। শনিবার ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার কার্যকারিণী বৈঠকের ঘটনা। এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি অবশ্য বিষয়টিকে আমল দিতে নারাজ।
ডায়মন্ড হারবারে এদিনের বৈঠকে যুবমোর্চা ও ওবিসি মোর্চার কর্মীদের কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা হয়। পরে তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। এই ঘটনায় আচমকা উত্তাল হয়ে ওঠে বিজেপির কার্যকারিণী বৈঠক। সেখানে উপস্থিত বিজেপির জেলা ও স্থানীয় নেতৃত্ব দু’পক্ষকে শান্ত করার বহু চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি ইনচার্জ বিধান পাড়ুই বলেন, “নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে ছোট ঘটনা একটা ঘটেছে। দলে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। পদাধিকারীদের সকলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সকল কর্মীর বৈঠকে হাজির থাকার কথা নয়।”
অশান্তি মিটে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর বৈঠকে হাজির হন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ”বিষয়টা খোঁজ নিয়ে দেখছি।” বৈঠক শেষে বেরিয়ে তিনি বলেন, “বিষয়টি এমন কিছুই নয়।”
এদিন সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, “রাজ্যে এখন বোমা ও গুলির কারবার চলছে। পুলিশ প্রশাসন কতটা সক্রিয় তা বোঝাই যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও পুলিশ কিছুই করছে না।” বিজেপি রাজ্য সভাপতি আরও জানান, “কোচবিহারে বেশ কয়েকজন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক গরু পাচারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। বিএসএফ পাচার আটকানোর প্রাণপণ চেষ্টা করছে কিন্তু রাজ্য পুলিশের সহযোগিতা পাচ্ছে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.