সিপিএম ছাত্রনেত্রী দীপ্সিতা ধর এবার লড়ছেন শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে। নিজস্ব চিত্র।
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: রামমন্দির (Ram Temple) তৈরি নিয়ে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর (SFI) প্রকাশ্য সভায় সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্পাদক দীপ্সিতা ধরের বক্তব্য চলাকালীন উত্তেজনা ছড়াল রামপুরহাটে। দীপ্সিতার বক্তব্যের বিরোধিতায় এক যুবক প্রতিবাদ করে উঠে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। দীপ্সিতা ধরের দাবি, যারা সমস্যা করার চেষ্টা করে, তারা কোনও একটা কিছু খুঁজে বের করে ঝামেলা বাঁধানোর চেষ্টা করেন। তারা আসলে কোনও রাজনীতি করেন না।
রামপুরহাটের (Rampurhat) ছ ফুঁকো এলাকায় এসএফআইয়ের ২১ তম বীরভূম জেলা সম্মেলন চলছিল শনিবার। সেই সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন সর্বভারতীয় সম্পাদক দীপ্সিতা ধর। তাঁর বক্তব্যের বিষয় ছিল রামমন্দির (Ram Mandir) এবং হিন্দুধর্ম। তবে দীপ্সিতা শুধুই এনিয়ে কথা বলেননি। কৃষক, শ্রমিক, সেনা সকলের জীবনের প্রতিকূলতার কথা উল্লেখ করে বিজেপি বিরোধিতায় শান দিচ্ছিলেন। নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের সমালোচনাও ছিল দীপ্সিতার বক্তব্যে।
আর তা সম্ভবত পছন্দ হয়নি রামপুরহাটের স্টেশন সংলগ্ন এলাকার বছর পঁয়ত্রিশের যুবক অমিত মণ্ডলের। তিনি দীপ্সিতার বক্তব্যের প্রতিবাদ (Protest) করেন। তাঁকে ঘিরেই ঝামেলা শুরু হয়। কিছুক্ষণের জন্য বক্তব্য থামিয়ে দেন দীপ্সিতাও। এসএফআই সমর্থকদের সঙ্গে বচসা ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় অমিত মণ্ডলের। তাঁকে সভাস্থল থেকে বের করে দেওয়া হয়। যদিও অমিতের দাবি, তিনি কিছুই বলেননি।
শনি ও রবিবার দুদিন এসএফআই-এর জেলা সম্মেলন। সেই উপলক্ষে রামপুরহাট ছ ফুঁকোর কাছে শনিবার দুপুরে প্রকাশ্য সভা ছিল। সেই সভার প্রধান বক্তা ছিলেন এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সম্পাদক দীপ্সিতা ধর। তিনি যখন বক্তব্য রাখছিলেন, সেই সময় রামমন্দির ও হিন্দুদের নিয়ে রাজনীতি সংক্রান্ত বক্তব্য রাখেন। তখনই প্রতিবাদ জানান অমিত। এ নিয়ে পরে দীপ্সিতা বলেন, ”ওঁর মায়োপিয়া আছে মনে হয়। আমি তো বক্তব্য কৃষক, শ্রমিকদের সমস্যার কথা বলেছি। উনি শুধু রামমন্দিরটাই শুনতে পেলেন! যারা এসব করে, তারা যে কোনও ছুঁতোয় ঝামেলা বাঁধাতে চায়। তারা তো আর রাজনীতি করে না।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.