সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে রাজ্যে বৃহস্পতিবার দুটি সভায় ভোটপ্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ বাঁকুড়ার পুরন্দরপুরের সভাটি নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে৷ কিন্তু পুরুলিয়ার রায়বাঘিনী মাঠে সভা শুরু হওয়ার আগেই তুমুল বিশৃঙ্খলা৷ উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যে চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি, সংঘর্ষ৷ সবচেয়ে সুরক্ষিত ডি জোনের ব্যারিকেড ভেঙে চেয়ার নিয়ে মঞ্চের একেবারে সামনে যাওয়ার চেষ্টা সমর্থকদের৷ মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি পুলিশের একেবারেই হাতের বাইরে চলে গিয়েছে বলে খবর৷
কর্মসূচি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার সভা শেষ করে নরেন্দ্র মোদির হেলিকপ্টার বেলা ১১টা ৪০ নাগাদ পুরুলিয়া-রাঁচি রাজ্য সড়কের উপর রায়বাঘিনী মাঠে নামবে৷ তারপর শুরু হবে তাঁর প্রচার সভা৷ পুরুলিয়ার দলীয় প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর সমর্থনে তিনি ভোটদানের আবেদন জানাবেন সভা থেকে৷ সেইমতো মঞ্চ বেঁধে আয়োজন করা হয়েছিল৷ প্রধানমন্ত্রী আসবেন বলে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল যথাযথ৷ কিন্তু সভা শুরুর অনেকটা আগে, সকাল ন’টা থেকে থেকেই কর্মী, সমর্থকরা ভিড় জমাতে শুরু করেন৷ সঙ্গে মোদির কাটআউট, মুখোশ৷ মাঠে উপচে পড়ে ভিড়৷ সকলেই মঞ্চের ঠিক সামনেই বসতে চান৷ তা নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিশৃঙ্খলা৷ চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি করে সকলেই সামনে আসতে চান৷ ডি জোনের ব্যারিকেড ভেঙে পড়ে জনতার চাপে৷ এমনকী পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় জলের বোতল৷ পুলিশ রীতিমতো হিমশিম খায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে৷
সভায় ততক্ষণে উপস্থিত হয়েছেন জেলা বিজেপি সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী৷ পরিস্থিতি দেখে তিনি মঞ্চ থেকেই হাত জোড় করে সমর্থকদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানাতে থাকেন বারবার৷ তাতেও কোনও লাভ হয়নি৷ জনতার চাপ সামলাতে পুলিশ, নিরাপত্তারক্ষীরাও ব্যর্থ হন৷ এর আগে ভোটের প্রচারে আসা নরেন্দ্র মোদির ঠাকুরনগরের সভাতেও এরকম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল৷ চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি, জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সেবারের সভাও৷ এখন পুরুলিয়ার পরিস্থিতি কীভাবে সামলে নির্ধারিত সময়ে সভা শুরু করা যায়, তা নিয়েই চিন্তিত জেলা বিজেপি নেতৃত্ব৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.