সুমন করাতি, হুগলি: চন্দ্রযান ৩ চাঁদের মাটি ছুঁতেই উচ্ছ্বাসে ভেসেছে সারা দেশ। প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে এটা গর্বের দিন। আর ইসরোর এই চন্দ্রাভিযানের সাফল্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে নাম জড়িয়ে গিয়েছে হুগলি জেলার। কারণ, চন্দ্রযান ৩-এর নেভিগেশন বা ক্যামেরা সিস্টেম তৈরিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন উত্তরপাড়ার বাসিন্দা জয়ন্ত লাহা।
গত ন’বছর ধরে ইসরোতে কর্মরত উত্তরপাড়া বিকে স্ট্রিটের বাসিন্দা জয়ন্ত লাহা। উত্তরপাড়া গভর্মেন্ট স্কুলের ছাত্র ছিলেন জয়ন্ত। শিবপুর কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছেন তিনি। তারপর কানপুর আইআইটি থেকে পাস করে ২০০৯ সালে ইসরোতে যোগ দেন উত্তরপাড়ার ছেলে। বাবা প্রশান্ত লাহা অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী, মা চন্দনা লাহা গৃহবধূ। চন্দ্রযানের সাফল্যের পর উচ্ছ্বাসে ভেসে যায় উত্তরপাড়ার মানুষ। জয়ন্ত লাহার বাড়িতে হাজির হন উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব। কৃতী ছেলের বাবা ও মাকে শুভেচ্ছা জানান পুরপ্রধান। শুধু পুরপ্রধান নন, লাহা বাড়ির সামনে ভিড় জমান অগুনতি মানুষ। তাঁরা প্রত্যেকেই শুভেচ্ছা জানান লাহা পরিবারকে।
ছেলের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত উত্তরপাড়ার বাসিন্দা লাহা পরিবারও। বাবা প্রশান্ত লাহা বলেন, “ছেলে ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভাল। আর দেশের উন্নতির জন্য সবসময় ভাবত। চন্দ্রযান ৩ সফলভাবে চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে। ছেলে চন্দ্রযান ৩-এর নেভিগেশন বা ক্যামেরা সিস্টেমের মুখ্য ভূমিকায় ছিল। এটা খুবই গর্বের দিন।”
মা চন্দনা লাহা বলেন, “আজ সারা পৃথিবীতে ভারতের নাম গর্বের সাথে উচ্চারিত হবে। খানে ছেলের অবদান রয়েছে এটা ভাবতেই একটা আলাদা আনন্দ অনুভূত হচ্ছে। ছেলে দেশের জন্য আরও অনেক কাজ করুক। দেশের নাম আরও উজ্জ্বল করুক।” লাহা পরিবারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পুরপ্রধান দিলীপ যাদব বলেন, “আজ পৃথিবীতে ভারতের সঙ্গে উত্তরপাড়ার নাম জানতে পারবে সকলে। এটা উত্তরপাড়ার মানুষ হিসাবে খুবই গর্বের। এটা আজ একটা গর্বের দিন। আমি চাই জয়ন্ত আগামী দিনে আরও ভালো কাজ করুক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.