Advertisement
Advertisement

Breaking News

অপসারণ

অনাস্থা প্রস্তাবে অসন্তোষ, আইন দেখিয়ে ডেপুটিকে অপসারণ পুরসভার চেয়ারম্যানের

নজরে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পুরসভা।

Chairman of Gangarampur Municipality eliminates Vice Chairman
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 5, 2019 7:45 pm
  • Updated:July 5, 2019 7:45 pm  

রাজা দাস, বালুরঘাট: অপসারিত হতে চলেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার৷ শুক্রবার আইন দেখিয়ে তাঁকে অপসারণের কথা ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র৷ পুরসভার উন্নয়নে বাধা এবং কাউন্সিলরদের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে৷ অমলেন্দুবাবুর অবশ্য পালটা অভিযোগ, অনাস্থা আনার পর চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র দিশেহারা হয়ে এরকম হঠকারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন৷

[আরও পড়ুন: এবিভিপিকে ডেপুটেশন দিতে বাধা, রণক্ষেত্র রানাঘাট কলেজ]

গত ২৪ জুন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র। সূত্রের খবর, তারপর থেকেই বিপ্লব মিত্রর ঘনিষ্ঠ থেকে শুরু করে, অনুগামী, এমনকী তাঁদের আত্মীয়দের ছেঁটে ফেলার কাজ শুরু করেন দক্ষিণ দিনাজপুরের নতুন তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ। অভিযোগ, গত ২৫ জুন অর্পিতা ঘোষের অঙ্গুলিহেলনে গঙ্গারামপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রর বিরুদ্ধে, যিনি আবার সম্পর্কে বিপ্লব মিত্রর ভাই৷  ওই পুরসভার ১৮ সদস্য বা কাউন্সিলরের মধ্যে ন’জনের স্বাক্ষর দেখা যায় প্রস্তাবপত্রে। নিয়ম অনুযায়ী, ১৫ দিনের মধ্যে বৈঠক ডেকে আস্থা ভোটে জিততে হবে চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রকে। এর মধ্যেই আবার আর একটি চাল দিয়ে বসলেন প্রশান্ত। 

Advertisement

chairman2

পুরআইন  ২১ সি, ১৯৯৩ ধারা প্রয়োগ করে চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র এদিন ঘোষণা করেন, অমলেন্দু সরকারকে ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হচ্ছে। এনিয়ে তিনি চিঠিও পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। অমলেন্দুর বিরুদ্ধে পুরসভায় উন্নয়নে বাধা ও এবং কাউন্সিলরদের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: বিজেপি সমর্থকদের উপর গণপ্রহারের জের, ভাতারে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী ও পুলিশ]

পদ থেকে অপসারিত হচ্ছেন, জেনেই অমলেন্দু সরকারের কটাক্ষ, ‘চেয়ারম্যান পাগল হয়ে গেছেন। যেহেতু তাঁর যথেষ্ট সমর্থন নেই, সেহেতু আমাকে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আমার দুঃখ নেই। তাঁর বিরুদ্ধে  অনাস্থা এনেছি। তাই ভয় পেয়ে এই সব কাজ করেছেন চেয়ারম্যান।’ তবে গোটা ঘটনাটাই নতুন জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষের মস্তিষ্কপ্রসূত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ৷ 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement