Advertisement
Advertisement

‘চেন কিলার’-এর দৌরাত্ম্য কালনায়, গলায় লোহার শিকল পেঁচিয়ে চলছে লুটপাট

৬ বছর পর কালনায় ফিরল আতঙ্ক।

'Chain killer' panick in Katwa,Burdwan
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 2, 2019 8:26 pm
  • Updated:June 17, 2020 8:03 am  

রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: লুট করতে গিয়ে লোহার শিকল দিয়ে পেঁচিয়ে হত্যা কিংবা অর্ধমৃত অবস্থায় ফেলে রেখে যাওয়া- এটাই কায়দা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুষ্কৃতীদের। কালনা শহরের সম্প্রতি সবকটি লুটপাটের ঘটনাতেই দেখা গিয়েছে এই চিত্র। তাতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, ফের ‘চেন কিলার’-দের দাপট বাড়ছে।

কখনও সকাল, কখনও সন্ধে। ভুয়ো পরিচয় দিয়ে প্রথমে ফাঁকা বাড়িতে ঢোকা, তারপর মহিলাদের একা পেয়ে গলায় লোহার চেন পেঁচিয়ে লুটপাট। পরনের গয়না থেকে আলমারি থেকে টাকাপয়সা ও অন্যান্য দামি সামগ্রী ছিনিয়ে নিয়ে ফেরার হয়ে যায় দুষ্কৃতীদল। গত ২৭ জানুয়ারি ঠিক একইভাবে কালনার আনুখালে পুষ্প দাস নামে এক মহিলাকে খুন করা হয়েছে। তাঁর গলায় জড়ানো ছিল লোহার চেন। সপ্তাহখানেকের মাথায় গত শুক্রবারও কালনার উপলতি গ্রামে বৃদ্ধার উপর লোহার শিকল দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। যদিও ওই বৃদ্ধা প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।

Advertisement

                                    [শিক্ষক নেই স্কুলে, পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ তৈরি করছে স্থানীয় দাদা-দিদিরা]

২০১৩ সালে একই কায়দায় কালনায় পৃথক তিনটি হামলায় দু’জন মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। আরেকজন কোনওক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন। তদন্তকারীদের মতে, এই ছ’বছরে পাঁচটি হামলার ক্ষেত্রেই একই পদ্ধতি ব্যবহার করেছে খুনি। তদন্তে জানা গিয়েছে, হামলাকারীরা প্রথমে বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করে। নিজেদের বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীর পরিচয় দিয়ে ঘরে ঢোকে। তারপর আচমকাই পকেট থেকে লোহার চেন বের করে গৃহকর্ত্রীর গলায় পেঁচিয়ে ধরে। পরনের গয়না লুট করার চেষ্টা করে, ব্যর্থ হওয়ায় চম্পট দেয়। বেঁচে যান বাড়ির কর্ত্রী। এরপর কালনার ধাত্রীগ্রাম, মন্তেশ্বরেও একই ঘটনা ঘটে।

                                    [কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণে রাজ্যের ‘অসহযোগিতা’, দুর্গাপুরের সভায় অভিযোগ মোদির]

জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের ঘটনার পরে সিআইডি তদন্ত করে এক সন্দেহভাজনের  স্কেচও তৈরি করেছিল। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু শেষমেশ কোনও প্রমাণ না পাওয়ায় রহস্য উন্মোচনও হয়নি। তদন্তকারীদের অনুমান, এসবই ‘কপি ক্যাট খুন’ বা একই কায়দায় একাধিক খুন বা হামলা চলছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ রাজ নারায়ণ মুখ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ৬ বছর পর ফের একই ধরনের ঘটনা শুনে ফের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ‘দ্রুত অপরাধীরা ধরা পড়ুক। আমরা যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছি।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement