Advertisement
Advertisement

Breaking News

পিছনের কনভয়ে থাকায় পুলওয়ামা হামলায় অক্ষত চন্দ্রকোণার সেনা

ফোনে অক্ষত থাকার খবর দিয়েছেন মঙ্গল হেমব্রম।

Chadrokona jawan gets back life from Pulwama
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 15, 2019 8:48 pm
  • Updated:February 15, 2019 8:48 pm  

শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল : রাখে হরি, মারে কে? প্রবাদবাক্যটি একেবারের অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের সেনা জওয়ান মঙ্গল হেমব্রমের জীবনে। জঙ্গি দল তাঁর কোনও ক্ষতিই করতে পারল না। অক্ষত রয়ে গেলেন কাশ্মীরে সিআরপিএফের ১১৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ান মঙ্গল হেমব্রম। বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার টার্গেট সেনা কনভয়ের পিছনের সারিতে থাকার ফলে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি।

‘দেশরক্ষায় অন্য সন্তানকেও উৎসর্গ করব’, শপথ শহিদের বাবার

Advertisement

চন্দ্রকোনা শহরের সাত নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি মঙ্গল হেমব্রমের। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কাশ্মীরের সেনা কনভয়ে বিস্ফোরণে খবর দেখে চরম উৎকন্ঠায় ছিল গোটা পরিবার। রাত ১০টা নাগাদ মঙ্গলবাবু নিজেই ফোনে জানান, তিনি সুস্থ আছেন। স্বস্তি ফিরে আসে গোটা পরিবারে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৩ সালে গড়বেতার বাসিন্দা মঙ্গল হেমব্রম সিআরপিএফে যোগ দেন। টানা সাত বছর কাশ্মীরে থাকার পর ২০১০ সালে গোয়ালতোড়ে পোস্টিং হয়। সেখানকার সেনা ক্যাম্পে ছিলেন ৫ বছর। ২০১৮ সালের জুন মাসে ফের কাশ্মীরে তাঁর কর্মক্ষেত্র ঠিক হয়। ৪০ দিনের ছুটি কাটিয়ে গত ৮ তারিখই ফিরে ১১৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নে যোগ দেন মঙ্গল। ঠিক সাত দিন পর এই দুর্ঘটনা।

কাঁধে শহিদের কফিন, জওয়ানদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন রাজনাথ সিংয়ের

মঙ্গলবাবুর স্ত্রী শংকরী হেমব্রম জানান, ‘বৃহস্পতিবার ওঁর সামনের দিকের কনভয়তেই থাকার কথা ছিল। কিন্তু নির্দেশ পালটে ওঁকে চার নম্বর কনভয়ে রাখা হয়। বিস্ফোরনের ঘটে যাওয়া কনভয়ের কিছুটা পিছনেই ছিলেন আমার স্বামী। ভাগ্য জোরে বেঁচে গিয়েছেন
তিনি।” বৃহস্পতিবার বিস্ফোরণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই দুরদর্শনের পর্দা থেকে চোখ ফেরাতে পারেননি শংকরাদেবী। তিন নাবালক ছেলে মেয়েকে নিয়ে চরম উৎকন্ঠায় কাটিয়েছেন রাত ১০টা ফেরাতে পারেননি শংকরী দেবী। একের পর এক মৃত্যুর খবর পেয়ে একসময় ভীষণ মুষড়ে পড়েছিলেন। টিভির পর্দায় চোখ আর মোবাইলেই চোখ রেখে ঠায় বসেছিলেন। ততক্ষণে পড়শিরাও ভিড় জমিয়েছে তাঁর বাড়িতে। কনভয়ে থাকলে কী যে হতো, তা ভেবেই শিউরে উঠছেন তাঁরা। রাত দশটা নাগাদ মোবাইলে স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমর্থ হন শংকরী দেবী। মঙ্গলের স্বাভাবিক গলা পেয়ে হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন। বাবার সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন তিন ছেলেমেয়েরও। শুক্রবারও শংকরী দেবীর চোখে মুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ। বললেন, “খুব বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন আমার স্বামী। ঈশ্বরকে অনেক ধন্যবাদ যে আমার স্বামী অক্ষতই আছেন।” তবে একইসঙ্গে শহিদ পরিবারগুলির প্রতিও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন শংকরী দেবী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement