প্রতীকী ছবি।
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও বাবুল হক: ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে বিজেপির বৈঠকে এমনই দাবি শীর্ষ নেতৃত্বের। দেশজুড়ে যখন বিরোধীরা সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে তখন ফেব্রুয়ারি থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার এই আইন কার্যকরী করছে বলে কলকাতার বৈঠকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই দাবি রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে এখন থেকেই বাংলার মানুষের জনমত গঠনে সিএএ’র সমর্থনে দলের নেতা-কর্মীদের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ারও নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। শুক্রবার কলকাতায় ন্যাশনাল লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামের কর্মশালায় এই বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষরা। এদিকে মালদহ টাউন হলে সিএএ নিয়ে দলের আরেকটি কর্মশালায় রাজ্য বিজেপির সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন বলছেন, এই আইন নাগরিকত্ব দেওয়ার, বিলোপ করার জন্য নয়। এটাই প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে বলতে হবে।
সিএএ’র বিরোধিতায় পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শুক্রবার শিলিগুড়িতেও মিছিল করেছেন তিনি। সিএএ নিয়ে বাংলায় তৃণমূলকে পালটা জবাব কোন পথে দিতে হবে তা নিয়ে দলের জোনভিত্তিক বৈঠকে কর্মীদের পাঠ দিচ্ছেন শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন, দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়রা। সিএএ নিয়ে মানুষ কী প্রশ্ন করতে পারে, তার জবাব কী হবে, তা নিয়ে গাইডলাইন দিচ্ছেন তাঁরা। শুক্রবার মালদহের কর্মশালায় অরবিন্দ মেননের পাশাপাশি ছিলেন মুকুল রায়, সাংসদ খগেন মুর্মু, সুকান্ত মজুমদার, স্বাধীন সরকার প্রমুখ। অরবিন্দ মেনন বলেছেন, সিএএ’র সুফল বোঝাতে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার পাশাপাশি পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে গ্রুপ বৈঠক করতে হবে। মুকুল রায়ের দাবি, সিএএ নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে তৃণমূল। আসলটা বোঝাতে হবে। বলতে হবে, এই আইন কাউকে দেশছাড়া করার নয়। নতুন করে নাগরিকত্ব দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।
কলকাতার বৈঠকে শিবপ্রকাশ, দিলীপ ঘোষ, সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার, জয়প্রকাশ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শিবপ্রকাশ পরামর্শ দিয়েছেন, সিএএ’র প্রচারে ছোট বৈঠক, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে জোর দিতে হবে। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, সিএএ নিয়ে বিরোধীদের প্রচারে বিশ্বের দরবারে নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। কর্মীদের তাঁর পরামর্শ, লিফলেটে প্রশ্ন-উত্তর সবকিছু দেওয়া রয়েছে। মানুষের প্রশ্নের উত্তর দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে। বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, সারা দেশে তিন কোটি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সেই সংখ্যা ১ কোটি। যারা দেশবিরোধী কাজে যুক্ত। এদেরকে সুরক্ষা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাদের জন্য রাস্তায় নেমেছেন। দিলীপবাবুর অভিযোগ, মতুয়াদের কাছে ভুল প্রচার করছেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে সংসদে তৃণমূল কোনওদিন কিছু বলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.