Advertisement
Advertisement

Breaking News

কেন্দ্রকে আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে ফের তোপ মমতার

আমার টাকা আমায় দিয়ে দাও৷ আমি উন্নয়ন করে দেখিয়ে দেব: মমতা

Centre takes away our revenues to pay off debts incurred by the previous Government: Mamata Banerjee
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 3, 2016 2:32 pm
  • Updated:June 23, 2022 6:17 pm  

সুনীপা চক্রবর্তী: জঙ্গলমহলের কাছে তিনি চিরকৃতজ্ঞ৷ সেই কৃতজ্ঞতার কথা তুলে ধরে জামবনির সভা থেকে ফের দিল্লিকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলে দিলেন, প্রবল ঋণের বোঝা ঘাড়ে নিয়েও দ্বিতীয় সরকারের কাজ শুরু করে তিনি উন্নয়ন করছেন৷ অথচ দিল্লি বাংলাকে বারবার বঞ্চনার মুখে ফেলছে৷ অনুদান দিচ্ছে না৷ কোনও প্রকল্পে আর্থিক সাহায্য মিলছে না৷ উপরন্তু কেটে নিচ্ছে বরাদ্দ৷ মমতা বলেন, “দিল্লি আমাদের আয়ের টাকা কেটে নিয়ে যাচ্ছে৷ তার পরও উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি৷ আমার টাকা তোমায় কাটতে হবে না৷ আমার টাকা আমায় দিয়ে দাও৷ আমি উন্নয়ন করে দেখিয়ে দেব৷ দিনরাত তাই পরিশ্রম করে চলেছি মানুষের জন্য৷” বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলাজুড়ে মানুষকে সরকারের উন্নয়নমূলক পরিকল্পনার খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সাইকেল প্রদান পরিষেবার পাশাপাশি ২২ হাজার মানুষের হাতে নানা পরিষেবা তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এদিন ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের খাবারের মান নিয়ে তদারকির নির্দেশ দেন মমতা৷ বলেন, সারা বছর মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করি৷ হাসপাতালে এসব করা যাবে না৷ মানুষের পরিষেবায় কোনও আপস নয়৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এদিনই টিম পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷

একইসঙ্গে দলের কেউ এর সঙ্গে জড়িত থাকলে, তাঁকেও রেয়াত করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন৷ এই জেলা থেকেই প্রায় ৪০ হাজার মানুষ রাজ্য পুলিশে চাকরি পেয়েছেন৷ সে কথাও উল্লেখ করেন মমতা৷ বাংলার সংস্কৃতির কথা তুলে ধরে মানুষের মধ্যে ঐক্যের সমন্বয়ের বার্তা দেন৷ বাংলার আদিবাসী ভাষাকে মমতা মর্যাদা দিয়েছেন৷ এদিন সে কথাও তুলে ধরেন তাঁর বক্তৃতায়৷ জঙ্গলমহলের জন্য সেখানকার ভাষাকে গুরুত্ব দিয়ে আলাদা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান৷ শান্তির জঙ্গলমহলে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে৷ একদিন আগেই ‘মিলন অনুষ্ঠান’ হয়ে উঠেছিল একতার উৎসব৷ যে উৎসবে শামিল হন জঙ্গলমহলের প্রান্তিক শিল্পী থেকে শুরু করে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান থেকে শুরু করে সমস্ত ধর্মের প্রতিনিধিরা৷ সেই উৎসবের মিলনের মাটিতে দাঁড়িয়েই মানুষের হাতে পরিষেবা পৌঁছে দিলেন মমতা৷ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ভোটে জেতার পর এই প্রথম এই জেলায় জনসভা মুখ্যমন্ত্রীর৷ যেখান থেকে রিমোটের সাহায্যে ঘাটাল ব্লকের একটি মাদ্রাসা হস্টেল এবং ফ্লাড সেণ্টারের উদ্বোধন করবেন মমতা৷ ঘাটালে আবার তৈরি হচ্ছে কর্মতীর্থ বলে জানানো হল৷

Advertisement

বলরামগড় হাই মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে এই মাদ্রাসা হস্টেলের৷ দোতলা এই হস্টেলের জন্য ব্যয় করা হয়েছে এক কোটি এগারো লক্ষ টাকা৷ মোট ৫০ জন সংখ্যালঘু ছাত্র এই হস্টেলে থাকতে পারবে৷ জেলার অন্যতম বৃহত্‍ ঘাটালের বলরামগড় হাই মাদ্রাসার সংখ্যালঘু ছাত্রদের জন্য হস্টেল নির্মাণের দাবি ছিল বাম আমল থেকেই৷ শেষমেশ দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ৷ অন্যদিকে ঘাটালের ঘোলসাই গ্রামে পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি ফ্লাড সেণ্টার৷ বন্যাপ্রবণ ঘাটালের ঘোলসাই গ্রামে একটি ফ্লাড সেণ্টার তৈরির দাবি ছিল দীর্ঘদিনের৷ বন্যার সময় চরম সমস্যায় পড়েন গ্রামবাসী থেকে প্রশাসনের কর্তারা৷ অবশেষে দাবি পূরণ হচ্ছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement