সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: স্রেফ ঘুরে দেখা নয়, রীতিমতো খুঁটিয়ে-খুঁটিয়ে প্রশ্ন করে রাজ্যে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) বাস্তবচিত্র বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় পরিদর্শকরা। রাজারহাটের পর মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন স্কুলে হাজির হন তাঁরা। সেখানকার খাবারের গুণমান বুঝতে নিজেরা রীতিমতো রান্না চেখে দেখেন পরিদর্শকরা। রান্নায় কী তেল-মশলা ব্যবহার করা হচ্ছে, কোন জলে রান্না করা হচ্ছে-এমন সব প্রশ্ন সাজিয়ে রাঁধুনিদের জন্য তৈরি করেছিলেন প্রশ্নমালা। ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে, তাঁদের ওজন-উচ্চতা মেপে পুষ্টির ব্যাপারটাও বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেন পরিদর্শকরা।
এদিন কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দলে ১১ জন প্রতিনিধি ছিলেন। তাঁরা ডায়মন্ড হারবার মহকুমার উস্তির রাজবল্লভপুর রঙ্গিলাবাদ রামলাল মেমোরিয়াল হাই স্কুল ও শেরপুর রামচন্দ্রপুর হাই স্কুলে যান। রান্নার সামগ্রী পরীক্ষা করার পাশাপাশি চাল-তেলের গুণমানও পরীক্ষা করে দেখেন তাঁরা। পরিদর্শকরা রান্না করা খাবার চেখে দেখেন। ছাত্রদের কাছে জানতে চান, কোথা থেকে তারা পানীয় জল পান করে।
রান্নাঘরে ঢুকে রাঁধুনিদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিনিধি দল। জানতে চায়, রান্নায় কী ধরনের তেল ও মশলা ব্যবহার করা হচ্ছে, কোন জলে রান্না করা হয়? এদিনের মিড ডে মিলের রান্নার পরিমাণের বিষয়েও প্রশ্ন করেন। কতজন মহিলা এই রান্নার কাজের সঙ্গে যুক্ত তাও খোঁজ নেন তাঁরা। রাঁধুনিরা নিয়মিত মাথায় ক্যাপ, মুখে মাস্ক ও অ্যাপ্রোন পরেই রান্না করেন কি না জানতে চান। এসব নিয়ে কথা বলেন অভিভাবকদের সঙ্গেও।
ছাত্রছাত্রীদের ওজন এবং উচ্চতাও মাপেন তাঁরা। মিড ডে মিলের হিসাব সংক্রান্ত খাতাপত্রও খতিয়ে দেখেন। এদিন স্কুলে ছাত্র সংখ্যার উপস্থিতিও লিখে নেন দলের সদস্যরা। এর আগে কেন্দ্রীয় দলটি জেলার ঠাকুরপুকুর-মহেশতলা ব্লকের পিকে হাই স্কুল ও বিষ্ণুপুর ২ নম্বর ব্লকের বিদ্যানগর মাল্টিপারপাস হাই স্কুলের মিড ডে মিল ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে। এদিন কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে ছিলেন জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.