ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে উত্তর ২৪ পরগনায় ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’-এ গেল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। শুক্রবার দুপুরের আচমকাই ৪ জনের দলটি হাজির হয় জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে। সেখানে ঘণ্টাখানেক আলোচনা করে তাঁরা জেলায় করোনা সংক্রান্ত সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য নেন। তারপর কলকাতায় ফিরে যান। CMOH জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় দলটির সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হয়েছে। তাঁরা যা যা তথ্য চেয়েছেন, সব দেওয়া হয়েছে। তবে আগে থেকে না জানিয়ে কেন্দ্রীয় দলের এই আচমকা পরিদর্শন নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের অন্দরে।
শুক্রবার দুপুর নাগাদ আচমকাই বারাসতে, উত্তর ২৪ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন সাহার অফিসে হাজির হন চারজন। নিজেদের তাঁরা কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দলের প্রতিনিধি বলে পরিচয় দেন। CMOH-এর কাছ থেকে জেলার করোনা পরিস্থিতি কেমন, কতজন আক্রান্ত, কোথায় হাসপাতাল, কোথায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, সেখানে কতজন ভরতি, লকডাউন কেমন চলছে – খুঁটিনাটি প্রতিটি বিষয় জানতে চান। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাঁদের সমস্ত তথ্য দেন। বারাসতের কদম্বগাছির এক বেসরকারি হাসপাতাল ‘ডেডিকেটেড
COVID’ হাসপাতাল হিসেবে কাজ করছে। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি হয়েছে এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। সেখানে কতজন নজরবন্দি, কতজনের চিকিৎসা চলছে, এসব জানতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। উত্তর ২৪ পরগনার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন সাহা জানিয়েছেন, ”ওনারা যা যা জানতে চেয়েছিলেন, সমস্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করা হয়েছে।”
এর আগে কলকাতা এসে এই প্রতিনিধি দলটি গিয়েছিল রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। পরিদর্শন করেন আরও অনেক জায়গায়। কোথাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, কোথাও গিয়ে আবার অসন্তুষ্টও হয়েছেন তাঁরা। এরই মাঝে রাজ্যের বিরুদ্ধে তাঁরা অসহযোগিতার অভিযোগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দ্বারস্থ হন। তাঁদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যসচিবকে পালটা চিঠিও পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব। পরে অবশ্য সেই জটিলতা মিটে যায়। নিজেদের কাজে রাজ্যের সহযোগিতা পেয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি। তবে বারাসত ঘুরে উত্তর ২৪ পরগনার পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার পর তাঁরা কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দেননি বলেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর। সোজা ফিরে গিয়েছেন কলকাতা। করোনা সংক্রমণের জেরে এই জেলাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাই সেখানকার তথ্য সংগ্রহ করলেন কেন্দ্রের পরিদর্শকরা। কিন্তু চুপিসাড়ে তাঁদের পরিদর্শন নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.