Advertisement
Advertisement
পুরুলিয়া

তৃণমূলের গুন্ডামি বেশিদিন চলবে না, মৃত কর্মীর বাড়িতে এসে হুঁশিয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সঠিক সময়ে দায়িত্ব পালন করবে, দাবি বিজেপির।

Central minister Kiren Rijiju visits died BJP worker's home in Purulia.
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:April 20, 2019 8:58 pm
  • Updated:April 22, 2019 4:03 pm  

সুমিত বিশ্বাস, আড়শা(পুরুলিয়া): বিজেপি কর্মী শিশুপাল সহিসের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সঠিক সময়ে তার দায়িত্ব পালন করবে। শনিবার পুরুলিয়ার আড়শার সেনাবনা গ্রামে মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়ি গিয়ে এই কথাই বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিদায়ী রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা কিরেণ রিজিজু।

[আরও পড়ুন-দিনের পর দিন বন্ধ স্কুল, মিড-ডে মিল না পেয়ে হতাশ পড়ুয়ারা]

গত বুধবার বিকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন শিশুপাল। বৃহস্পতিবার সেনাবনা গ্রাম থেকে প্রায় এক কিমি দূরে জঙ্গলের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরপরই বঙ্গ বিজেপির তরফে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়। গত শুক্রবার সিবিআই তদন্তের দাবিতে পুরুলিয়া জেলাজুড়ে রাস্তায় নেমে অবরোধ কর্মসূচি নেয়। শনিবার ওই বিজেপি কর্মীর বাড়ি গিয়ে তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন কিরেণ রিজিজু।

Advertisement

এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সঠিক সময়ে তার দায়িত্ব পালন করবে। এখন নির্বাচন পর্ব চলায় আদর্শ আচরণ বিধি চালু আছে। তাই এই ঘটনার বিষয়ে কিছু ঘোষণা করতে পারছি না। তবে মৃত শিশুপালের পরিবারের পাশে এই রাজ্য-সহ দেশের সমস্ত বিজেপি নেতা,কর্মীরা রয়েছেন।”

[আরও পড়ুন-একই বেডে ৩ জোড়া মা-শিশু! ঠাসাঠাসিতে সদ্যোজাতের মৃত্যু সরকারি হাসপাতালে]

এরপরই তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “এখানে তৃণমূল ও পুলিশ-প্রশাসন একসঙ্গে কাজ করছে। প্রশাসন নিরপেক্ষ কাজ করছে না বলে ন্যায় মিলছে না। তাই তৃণমূল সরকারকে ছুঁড়ে ফেলার জন্য বাংলার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন। তৃণমূলের গুন্ডামি আর বেশিদিন চলবে না। ২৩ মে ভোটের ফলাফলের পর, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শপথ নেওয়ার পরেই আমরা কী কী করতে পারি সেটা করে দেখাব।”

[আরও পড়ুন-ভিলেন জুতোর ফিতে, মুখ্যমন্ত্রীর পাশে হাঁটতে গিয়ে হোঁচট মহুয়ার]

এপ্রসঙ্গে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো বলেন, “এই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। এখন তো তাদের ‘কেয়ারটেকার‘ সরকার চলছে। তার মধ্যেই প্রতিহিংসামূলক কথাবার্তা বলতে শুরু করেছে। আগে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসুক, তারপর অন্য কথা। আমাদের ভয় দেখিয়ে বা চোখ রাঙিয়ে কিছু হবে না। বাংলাতেই একমাত্র গণতন্ত্র রয়েছে। যেখানে কোনও হিংসা নেই। মানুষ আজ মুখ খুলে কথা বলতে পারেন। প্রতিবাদ করতে পারেন। এটা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য সম্ভব হয়েছে। আগে বাম জমানায় আমজনতা ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতেন। কোনও প্রতিবাদ করতে পারতেন না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement