স্টাফ রিপোর্টার: গ্রামের উন্নতির কথা মাথায় রেখে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের বরাদ্দ অনেকটাই বাড়ল রাজ্য বাজেটে৷ একশো দিনের প্রকল্প বা আইসিডিএস-এর মতো বহু ক্ষেত্রে কেন্দ্র বরাদ্দ উঠিয়ে নিয়েছে বা বরাদ্দ কমিয়েছে৷ কিন্তু এইসব প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সরাসরি উপকৃত হন৷ তাই পঞ্চায়েতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অমিত মিত্র বরাদ্দ করেছেন দশ হাজার ৬৫২ কোটি টাকার বেশি৷ গত আর্থিক বর্ষে এই প্রস্তাব ছিল ৮৫৮০ কোটি টাকা৷ যদিও সংশোধিত বাজেটে সেই পরিমাণ ছিল ১৫৩৬১ কোটি টাকা৷ অন্যদিকে, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মূল কাজ গ্রামে পানীয় জলের জোগান দেওয়া৷ ওই দফতরে বরাদ্দ ১৬৩০ কোটি টাকা৷ গত আর্থিক বছরে বরাদ্দ ছিল ১৪৭০ কোটি টাকা৷ গ্রামের সেইসব প্রকল্প শেষ করতেই বরাদ্দ বাড়িয়েছেন মমতা৷
দুই দফতরের দায়িত্বে সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ অমিত মিত্রের পাশে বসে সাংবাদিক সম্মেলনে সুব্রতবাবু বলেন, “বাস্তবের সঙ্গে সংগতি রেখে বাজেট হয়েছে৷” আরও দুই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “এই আর্থিক অবস্থায় এর থেকে ভাল বাজেট হতে পারত না৷ হতদরিদ্রের মানোন্নয়ন স্পষ্ট ছবি৷” অন্যদিকে, দফতরের বরাদ্দবৃদ্ধি নিয়ে সুব্রতবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী গ্রামের উন্নয়নের কথা বলেন৷ দুই দফতরেই বরাদ্দ বেড়েছে৷ অমিতবাবু কার্পণ্য করেননি৷ এটা সাত কোটি মানুষের জন্য সুখবর৷” অমিত মিত্রের বক্তব্য, “৩৮টি প্রকল্প কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে৷ আরও ২৮টিতে বরাদ্দ কমিয়েছে৷ কোনও অনুদান পেতে রাজ্যের রাজস্ব বাড়াতে হবে৷” কেন্দ্রের বঞ্চনা প্রসঙ্গে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর কটাক্ষ, “কেন্দ্র গ্রিসকে দশ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে পারে, পশ্চিমবঙ্গকে দেবে না? ঋণের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, পাঞ্জাবের মতো অন্য আরও রাজ্য অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.