নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বিজেপির আয়োজিত দুর্গাপুজোর (Durga Puja)উদ্বোধনে এবার সিউড়ি আসতে পারেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। আসার সম্ভাবনা ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরেরও (Gautam Gambhir)। রবিবার সিউড়িতে বিজেপির জেলা দপ্তরের সামনে খুঁটিপুজার মাধ্যমে প্রথমবার দুর্গাপুজোর আয়োজন হল। যদিও খাতায় কলমে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় স্মারক সমিতির নামে বিজেপির দপ্তরের সামনে এই পুজোর আয়োজন। বীরভূম (Birbhum) সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহার কথায়, ”দুর্গাপুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজো। চারিদিকে যেভাবে অসুর, মহিষাসুর ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের নিধনে আমাদের এবার দুর্গা মায়ের কাছে সম্মিলিত প্রার্থনা থাকবে।”
জেলা সম্পাদক কৃষ্ণকান্ত সাহা জানান, ”আমাদের ইচ্ছা পঞ্চমীর দিনে মিঠুন চক্রবর্তী অথবা সাংসদ গৌতম গম্ভীরকে দিয়ে পুজোর উদ্বোধন করার। সেই যোগাযোগ চলছে।” সপ্তমীর দিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আসবেন। সিউড়ি ছাড়াও মহম্মদবাজারে যাওয়ার তার কর্মসূচি আছে। তবে বিজেপির (BJP) হেভিওয়েট নেতারা এলেও কোনও কর্মসূচি রাখা হয়নি। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা ফিরে যাবেন।
চলতি বছরে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে শ্যামাপ্রসাদ ভবন নামে জেলা বিজেপির কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন অমিত শাহ (Amit Shah)। সেখানেই বিজেপি নেতারা দাবি করেন, কার্যালয় তাঁদের কাছে মন্দিরের মতন। এবার বীরভূমের আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে এসেছে ওই পার্টি অফিস থেকে নির্বাচন পরিচালনা করেই। তাই লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পুজোর দিনেও জনসম্পর্ক অব্যাহত রাখতে এবার দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছে। সেখানেই জেলার বিশিষ্টদের ডেকে পুজোর আড়ালে ‘জনসম্পর্ক’ করা হবে। একইসঙ্গে নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের নিয়ে চলবে আড্ডা।
যদিও বিরোধীদের পক্ষ থেকে অবাঙালি দল বলে বিজেপিকে উল্লেখ করে দুর্গাপুজো করে বাঙালিদের মন পাওয়ার বিজেপি চেষ্টা করছে বলে কটাক্ষ করা হয়। তার প্রত্যুত্তরে ধ্রুব সাহা বলেন, ”জনসংঘ থেকে হালের বিজেপি তৈরি হয়েছিল বাঙালি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে। তাই তাঁর স্মারক সমিতি এই পুজোর আয়োজন করেছে। তাছাড়া আমরা পুজো নিয়ে রাজনীতি নয়, মায়ের কাছে শক্তি প্রার্থনা করব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.