দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: নিরাপত্তার স্বার্থে এখন অনেক অফিসেই সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারি চলে। কিন্তু নিজের দপ্তরে শুধুমাত্র মহিলা কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট ঘরে, এমনকী শৌচাগারের সামনেও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছেন খোদ নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের ব্লক আধিকারিক! ব্লকের আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দাবি, নির্দিষ্ট কোনও মনিটরে নয়, সরকারি ওই আধিকারিক নাকি নিজের মোবাইল থেকে সিসিটিভিতে নজরদারি চালান। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ক্যানিং এক নম্বর ব্লকে নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা।
বিভিন্ন প্রয়োজনে রোজই সংশ্লিষ্ট ব্লকের নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের আধিকারিক বা সিডিপিও-র দপ্তরে আসতে হয় আশা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। প্রত্যন্ত এলাকা থেকেও দুধের শিশুকে কোলে নিয়ে আসেন অনেকেই। কিন্তু, ক্যানিং এক নম্বর ব্লকের সিডিপিও-র দপ্তরে গেলে বেজায় সমস্যায় পড়তে হয় আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। কারণ সিসিটিভির নজরদারি! অফিসে মহিলার কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট একটি ঘর আছে। শুধুমাত্র সেই ঘরে সিসিটিভিতে নজরদারি চলে বলে অভিযোগ। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দাবি, তাঁদের ঘরে এমনভাবে সিসিটিভি ক্যামেরাটি লাগিয়েছেন ব্লকের নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের আধিকারিক, যে তাঁরা যখন পোশাক পরিবর্তন করেন কিংবা সন্তানকে স্তন্যদান করেন, এমনকী শৌচাগারে ঢুকতে গেলেও সেই ছবি ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। আর সিসিটিভি ক্যামেরার সেই ছবি নিজের মোবাইলে দেখতে পান ক্যানিং এক নম্বর ব্লকের নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিক অসীম রেজা সরকার। এমনকী, তিনি যতক্ষণ অফিসে থাকেন, ততক্ষণ মহিলা কর্মীদের ঘরের সিসিটিভি ক্যামেরাটি চালু থাকে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ক্যানিংয়ে সিডিপিও-র দপ্তরে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন ব্লকের আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, বহুবার বলা সত্ত্বেও মহিলাকর্মীদের ঘর থেকে সিসিটিভি ক্যামেরাটি খুলতে রাজি হননি দপ্তরের ব্লক আধিকারিক। যদিও এই ঘটনাটিকে আমল দিতে চাননি ক্যানিং এক নম্বর ব্লকের নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের ব্লক আধিকারিক অসীম রেজা সরকার। এমনকী, বিক্ষোভের ঘটনাটিও বেমালুম অস্বীকার করেছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.