Advertisement
Advertisement

Breaking News

CBI

গরু পাচার কাণ্ডে ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার-সহ ৪ BSF কর্তাকে তলব সিবিআইয়ের

মুর্শিদাবাদ রেঞ্জে কারা কর্তব্যরত ছিলেন সে তালিকা বিএসএফের কাছে চেয়ে পাঠায় সিবিআই।

CBI summons four BSF officials in cattle smuggling case | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 14, 2020 1:11 pm
  • Updated:December 14, 2020 1:11 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: গরু পাচার কাণ্ডে এবার বিএসএফের চার আধিকারিককে তলব করল সিবিআই। চার অফিসারের মধ্যে একজন ডিআইজি, দু’জন এসিস্টেন্ট কমান্ডেন্ট ও একজন ডেপুটি কমান্ডেন্ট পদ মর্যাদার বলে সূত্রের খবর।

[আরও পড়ুন: ‘রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রের প্রকল্পের টাকা নিতে দেয়নি রাজ্য’, এবার বেসুরো জিতেন্দ্র তিওয়ারি]

পাচার কাণ্ডে যুক্ত বিএসএফ কমান্ডেন্ট সতীশ কুমারকে গ্রেপ্তারের পর তাঁকে জেরা করে তদন্তকারীরা আরও আধিকারিকদের যুক্ত থাকার কথা জেনেছিলেন। ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল দু’বছর মুর্শিদাবাদ, মালদহ সীমান্ত দিয়ে পাচারের সময় কুড়ি হাজার গরু আটক করে বিএসএফ। এত সংখ্যক গরু আটক হলেও একটিও গাড়ি ও পাচারকারী ধরা না পড়ায় তদন্তকারী আধিকারিকদের সন্দেহ হয়। আটক সেই গরু নিলামে কম দামে কিনে নেন পাচারকারীরাই। কেনা-বেচার সিন্ডিকেটের মূল পান্ডা এনামুল হককে জেরা করে বিএসএফ ও কাস্টমস কর্তাদের যোগসূত্র পায় সিবিআই। বিএসএফ কমান্ডেন্ট সতীশ কুমারকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু অফিসার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালে মুর্শিদাবাদ রেঞ্জে কারা কর্তব্যরত ছিলেন সে তালিকা বিএসএফের কাছে চেয়ে পাঠায় সিবিআই। সে সময় ওই চার অফিসার বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। এনামুল হকের থেকে তাঁরা প্রচুর অর্থ নিয়েছেন বলে জেনেছে কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা। এরপর বিএসএফের চার আধিকারিককে বুধবারের মধ্যে নিজাম প্যালেস সিবিআই দপ্তরে হাজির হতে বলা হয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার আসানসোল সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করে গরু পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। একই সঙ্গে আদালতে তোলা হয় বিএসএফ কমান্ডেন্ট সতীশ কুমারকেও। শুনানি শেষে দু’জনকেই জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। গত মাসে দিল্লির একটি হোটেল থেকে এনামুল হককে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। তারপর এনামুল হককে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেয় দিল্লির সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও বসিরহাট সীমান্ত এলাকায় কয়েকজন ব্যবসায়ীর উপর নজরদারি শুরু করেন তদন্তকারী দলের সদস্যরা। এছাড়া, বিএসএফ কমান্ডেন্ট সতীশ কুমারের বাড়ি, ব্যবসায়ী রাজন পোদ্দারের মানিকতলার বাড়ি ও তিন জেলায় সিবিআই তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বিএসএফ ও শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের যোগসাজশে সীমান্তে আটক গরুগুলিকে রুগ্‌ণ ও ছোট দেখিয়ে কম টাকায় কিনে নেওয়ার সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিল এনামুল হক।

[আরও পড়ুন: কোভিড টিকার জন্য ১২ লক্ষ বিশেষ সিরিঞ্জ আসছে রাজ্যে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement