নন্দন দত্ত, সিউড়ি: গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দার নামে রয়েছে ব্য়াংক অ্যাকাউন্ট। সেই অ্য়াকাউন্ট থেকে লেনদেন হয়েছে লক্ষ-লক্ষ টাকা। অথচ জানেনই না অ্য়াকাউন্টের মালিকরা। বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি-২ ব্লকের সিবিআই হানায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বুধবার সকালে বীরভূমের কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকে হানা দেয় ৪ সিবিআই আধিকারিক। সেখানকার ম্যানেজার ও আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের পর দুই গ্রামে যান তাঁরা।
প্রথমে বীরভূমের কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকে যান সিবিআই প্রতিনিধিরা। সেখানকার ম্যানেজার ও আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা। জানা গিয়েছে, গত ৫ জানুয়ারি এই ব্য়াংকেই আচমকা হানা দিয়েছিল সিবিআই। সেখানে বয়ান রেকর্ড করার পাশাপাশি ১৭৭ ব্য়াংক অ্যাকাউন্টের নথি সংগ্রহ করে নিয়ে যায় তারা। সেই নথি খতিয়ে দেখার পর এদিন ফের ব্যাংকে হানা দেয় সিবিআই।
ব্য়াংক থেকে বেরিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা সোজা চলে যান সিউড়ি ২ ব্লকের দুই গ্রামে-হরিপুর ও ধোবাগ্রামে। সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কারণ, কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সমবায় ব্য়াংকে এমন একাধিক অ্য়াকাউন্ট রয়েছে যার মাধ্যমে গরু পাচারের বহু টাকা চালকলের মাধ্যমে একাধিক অ্য়াকাউন্টে গিয়েছে। অনলাইনে সেই টাকা ঢুকেছে আবার সঙ্গে সঙ্গে স্বাক্ষরের করে তা অন্য় অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই অ্যাকাউন্টের অধিকাংশই দুই গ্রামের বাসিন্দা।
এদিন এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই গ্রামবাসীরা জানান, এই অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানেন না। অ্যাকাউন্টের সমস্ত নথিগুলি গ্রামের বাসিন্দাদের হলেও ছবি তাঁদের নয়। এমনকী, অ্যাকাউন্টের লেনদেন সম্পর্কে তাঁদের জানা নেই। অনেকে তো আবার চোখেও দেখতে পান না। উল্লেখ্য, সিউড়ি ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নূরুল ইসলাম পাঁচ বছর ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যান। এদিন গ্রামবাসীদের বয়ান রেকর্ড করে এক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকেও হানা দেয় সিবিআই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.