Advertisement
Advertisement

Breaking News

CBI gets some new information from Suri co operative bank

সিউড়ির সমবায় ব্যাংকে মৃতেরও অ্যাকটিভ অ্যাকাউন্ট, সিবিআই তদন্তে প্রকাশ্যে নয়া তথ্য

সিউড়ির সমবায় ব্যাংকের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগাযোগে হইচই।

CBI gets some new information from Suri co operative bank । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 7, 2023 9:51 am
  • Updated:January 7, 2023 9:51 am  

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: কেউ মরে ভূত, কেউ জীবনে কোনও ব‌্যাংকের ছায়া মাড়াননি। তাঁদের নামেই অ্যাকাউন্ট এবং সবই ব‌্যবসায়িক পরিভাষায় ‘অ‌্যাকটিভ’! বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গরু ও বালি পাচার মামলায় তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের হানায় জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব‌্যাংকের এমন তথ‌্য সামনে আসায় হইচই পড়ে গিয়েছে। চাপে পড়ে নিজেদের গাফিলতি খতিয়ে দেখতে একটা উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বীরভূম জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার সেখানে হানা দিয়ে অনুব্রতর (Anubrata Mandal) যোগসূত্র রয়েছে এমন ১৭৭টি অ্যাকাউন্ট ও বেশ কিছু নথি পাওয়ার পর শাখার দুই ম্যানেজার অভিজিৎ সামন্ত ও ইন্দ্র বাহাদুরকে কলকাতায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তাঁরা ফিরলেই নিজস্ব তদন্ত শুরু হবে বলে জানান ব্যাংক পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান কালীপ্রসাদ ঘোষ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘কলার ধরে জেলে ভরব’, নন্দীগ্রাম দিবসে শুভেন্দুকে হুঁশিয়ারি কুণালের]

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলে সিবিআইয়ের হাতে আসা ১৭৭টি অ্যাকাউন্টে তথ্যের অনেক গাফিলতি ছিল। সঠিক ঠিকানা না দিয়ে, ফোন নম্বর ভুল দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। বেশ কয়েকজন গ্রামের মানুষের নথি দিয়ে অ‌্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, যা তাঁরা জানেন না। তাঁদের এমন অ‌্যাকাউন্ট আছে শুনে আকাশ থেকে পড়ছেন। যার মাধ্যমে খাদ্যদপ্তরের ধান-চাল কেনার টাকার লেনদেন হয়েছে। এমনকী এদিন এমন বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট পাওয়া যায়, যাঁরা মৃত। তাঁদের নাম ও আধার কার্ড ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সিউড়ি শাখায় আড়াই লক্ষ গ্রাহক। তাদের সব তথ‌্য যাচাই করা সম্ভব নয়।

ব্যাংকের বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, “আমার ৪২ বছরের রাজনৈতিক জীবন। আমাদের উদ্দেশে বলুক। কটাক্ষ করুক। কিন্তু যেখানে বহু গ্রাহকের স্বার্থ জড়িত সেই ব্যাংকের ব্যবসার ক্ষতির জন্য পরিকল্পিত চক্রান্ত হচ্ছে।” তিনি জানান, যখন ঋণ অনাদায়ে ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায়, দেউলিয়া ঘোষণা হয়ে যায়, সেদিন এগিয়ে এসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বহু লোক এমনকী তাঁর দলের কিছু নেতা ঋণ মকুবের জন্য অনুব্রতর কাছে দরবার করেছিল। কিন্তু একমাত্র তিনি বলেছিলেন, আগে টাকা দাও, পরে কথা হবে।

ব্যাংক সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুর শাখায় একটি অ্যাকাউন্ট ছিল। কিন্তু সেটি দীর্ঘদিন ধরে লেনদেন হয়নি। যদিও সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে খাদ্যদপ্তরের নামে কেনা ধান চালের ভুয়ো কোটি কোটি টাকা সিউড়ির অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। যার আপত্তি করেন ব্যাংকের সিইও বেনজির হোসেন। তিনি বলেন, যে অ্যাকাউন্টগুলি সিবিআই নিয়ে গিয়েছে সেগুলি থেকে কোনও নগদ অর্থের লেনদেন হয়নি। সবই সরকারি প্রকল্পের টাকা। সে টাকাও কোটি কোটি টাকা নয়। তবে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে নিয়ে যাওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে দেওয়ার কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র সিজার লিস্ট দিয়ে সেগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে সিবিআই হানার পর প্রথম বোর্ড মিটিং বসে ব্যাংকে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ছ’মাস ধরে সিবিআই নানা তথ্য চাইছে। এমনকী সোমবার বহু তথ্য ব্যাংক ম্যানেজার সিবিআইকে দিয়েছেন।

[আরও পড়ুন: সম্পত্তি কর বাড়াল পুরসভা, অভিজাত এলাকায় বাড়ি হলে গুনতে হবে অতিরিক্ত টাকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement