সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু (Tapan Kandu Killing Case) হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটে পারিবারিক বিবাদের কথাই উল্লেখ রয়েছে। এই ঘটনার পিছনে যে পারিবারিক বিবাদ ছিল তা রাজ্য পুলিশের সিট (SIT) তদন্ত করে আগেই জানিয়েছিল। চলতি মাসের ১৩ তারিখ এই মামলায় ৪৭ পাতার প্রথম চার্জশিট জমা করে সিবিআই (CBI)। শনিবার অভিযুক্তদের হাতে এই চার্জশিট কপির প্রতিলিপি দেওয়া হয়।
চার্জশিটে পারিবারিক বিবাদের কথা উল্লেখ করে ধৃত ৫ অভিযুক্তই এই খুনের ষড়যন্ত্র করেছে বলে উল্লেখ রয়েছে। তবে এখনও দুই ভাড়াটে খুনিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি সিবিআই। ফলে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চালিয়ে যাবেন সিবিআই আধিকারিকরা। পরে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা করবেন তারা।
ঝালদা পুর নির্বাচনে দু’নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন কান্দু জিতবেন নাকি তাঁর ভাইপো তৃণমূলের প্রার্থী দীপক কান্দু জয়লাভ করবেন সেই নিয়ে নিহত তপনের সঙ্গে তার দাদা তথা এই ঘটনায় ধৃত নরেন কান্দুর মধ্যে পাঁচ লক্ষ টাকার বাজি হয়। সেই কথাও চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে। তেমনই এই খুনে সুপারি হিসাবে সাত লক্ষ টাকার যে রফা হয়েছিল সে কথাও উল্লেখ আছে। তবে অভিযুক্ত দীপক কান্দুর আইনজীবী নন্দলাল সিংহানিয়া বলেন, “যে চার্জশিট সিবিআই জমা করেছে তাতে মনে হচ্ছে কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে।”
গত ১৩ মার্চ বিকেলে হাঁটতে গিয়ে ঝালদা-বাঘমুন্ডি সড়কপথে গোকুলনগর গ্রামের কাছে আততায়ীদের গুলিতে খুন হন ঝালদা পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। এই ঘটনার পরেই তোলপাড় হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। এর আগে তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে তাঁর ভাইপো দীপক কান্দুকে গ্রেপ্তার করেছিল সিট। রাজ্য পুলিশের তদন্ত শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আদালতের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। কিন্তু তাদের চার্জশিটেও উঠে এল পারিবারিক খুনের তত্ত্ব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.