অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: টেট কেলেঙ্কারির তদন্তে এবার হাওড়ায় সিবিআই (CBI)। জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় ওএমআরসিটের মূল্যায়ন করেছিল এস. বসু রায় নামে একটি সংস্থা। মঙ্গলবার ওই সংস্থার কর্ণধার কৌশিক মাজির হাওড়ার দাশনগরের ফ্ল্যাটে হানা দেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা কৌশিক মাজির ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক-সহ বেশকিছু নথি সংগ্রহ করে নিয়ে যান। তল্লাশির পর সিবিআই কর্তারা অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলতে চাননি। ফ্ল্যাটের ভিতরে থাকা কৌশিক মাজিও এদিন সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলতে চাননি। তবে কৌশিকবাবুর পরিবারের এক সদস্য ফ্ল্যাটের বন্ধ দরজার ভিতর থেকে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘কৌশিক নির্দোষ। তিনি কিছু করেননি। এ ব্যাপারে এর চেয়ে বেশিকিছু আমরা বলতে পারব না।’’
এদিন সকাল ১১টা নাগাদ দাশনগরের ৫৯ নম্বর আলামোহন দাশ রোডে একটি বহুতলের পাঁচতলায় কৌশিকের ফ্ল্যাটে আচমকা হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের এই দলে এক মহিলা-সহ ৭ জন আধিকারিক ছিলেন। কৌশিকের ফ্ল্যাটে ঢুকে দরজা বন্ধ করে তল্লাশি চালান তাঁরা। কয়েক ঘণ্টা পর ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান সিবিআইয়ের ৪ আধিকারিক। কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক-সহ বেশকিছু নথি নিয়ে গাড়িতে চেপে চলে যান তাঁরা। ওই চার সিবিআই আধিকারিক বেরিয়ে যাওয়ার পরও ফ্ল্যাটের ভিতর এক মহিলা-সহ আরও তিন আধিকারিক বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন। বিকেল সাড়ে ৪ টে নাগাদ ওই তিন আধিকারিকও স্যুটকেস-সহ কিছু নথি নিয়ে বেরিয়ে যান। এই তল্লাশির ব্যাপারে এদিন এই আধিকারিকরা কেউই মুখ খুলতে চাননি। সিবিআইয়ের এই তল্লাশির জেরে এদিন দাশনগরে আশপাশের এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
সিবিআইয়ের তল্লাশির সময় স্থানীয় বাসিন্দারাও ওই আবাসনে উঁকিঝুঁকি দেন। কী হচ্ছে তা জানার আগ্রহ নিয়ে অনেকেই ওই বহুতল আবাসনের সামনে ভিড় জমান। শঙ্কর সৎপতি নামে আবাসনের এক নিরাপত্তারক্ষী এই প্রসঙ্গে বললেন, ‘‘এদিন সকালে সিবিআই আধিকারিকরা হঠাৎ এসে নিজেদের পরিচয় দিয়ে আমাকে কৌশিক মাজি আবাসনের ফ্ল্যাটে থাকেন কি না জিজ্ঞেস করেন। আমি বলি পাঁচ তলায় থাকেন। তখন ওঁরা আমাকে কৌশিকবাবুর ফ্ল্যাট দেখিয়ে দিতে বলেন। আমি ফ্ল্যাট দেখিয়ে দেওয়ার পরই ৭ জনের আধিকারিকদের ওই দলটি ফ্ল্যাটে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। তার পর ভিতরে দীর্ঘক্ষন থাকার পর ওঁনারা বেরিয়ে যান। ফ্ল্যাটে ঢুকে ওঁনারা কী করেন তা আমরা বাইরে থেকে কিছুই টের পায়নি।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.