বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: জোরকদমে চলছে হাঁসখালি কাণ্ডের (Hanskhali Rape Case) তদন্ত। শুক্রবার অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এদিনই নির্যাতিতার বাড়ি ও গ্রাম ঘুরে দেখলেন বিজেপির সত্য অনুসন্ধান কমিটির ৪ সদস্য।
হাঁসখালি কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। ঠিক কী ঘটেছিল ৪ এপ্রিল রাতে? কে কে ছিল ধর্ষণের ঘটনার মূল অভিযুক্ত সোহেলের সঙ্গে? কেন লোকচক্ষুর আড়ালে দাহ করে দেওয়া হল নাবালিকার দেহ, এহেন একাধিক প্রশ্নের উত্তরে বহু অভিযোগ উঠে আসছে। তবে আদতে কী হয়েছিল, তা জানার জন্য তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। শুক্রবার সকালেও হাঁসখালিতে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। কথা বলেন, গ্রামবাসীদের সঙ্গে। নির্যাতিতার বাড়িতে যাওয়ার পাশাপাশি দফায় দফায় যান তিন অভিযুক্ত অর্থাৎ সোহেল গয়ালি ওরফে ব্রজ, প্রভাকর পোদ্দার ও দীপঙ্কর পোদ্দারের বাড়িতে।
তদন্তে উঠে আসা একাধিক তথ্যের ভিত্তিতে এদিন বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এদিন একাধিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলেই খবর। অভিযুক্ত সোহেলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মিলেছে রক্তমাখা কাপড়। মনে করা হচ্ছে। সোহেলের বাড়ির পিছন থেকে উদ্ধার হয়েছে মদের বোতল। এতে প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা নিশ্চিত যে, ঘটনার দিন মদের আসর বসেছিল সোহেল অর্থাৎ ব্রজর বাড়ির পিছনে।
এদিন বিজেপির সত্য অনুসন্ধান কমিটির চার প্রতিনিধি যান হাঁসখালিতে। সেখানে নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে সোচ্চার হন তাঁরা। এরপরই রাজ্যকে তুলোধোনা করেন। তাঁদের কথায়, “রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নেই। এমন একটা ঘটনায় নির্যাতিতার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণ লজ্জাজনক। মহিলা হয়ে কী করে পারলেন জানি না।” পাশাপাশি ৩৬৫ ধারা জারির দাবিও করেন তিনি। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থলে যান মমতাবালা ঠাকুর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.