ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে (Hanskhali Rape Case) গ্রেপ্তার আরও এক। তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI) এটাই প্রথম গ্রেপ্তারি। শনিবার বিকেলে রানাঘাট থেকে মূল অভিযুক্ত সোহেল ও প্রভাকরের বন্ধুকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই (CBI)। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় এনিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হল।
ধৃতের নাম রঞ্জিত মল্লিক। গ্যাঁড়াপোতারই বাসিন্দা সে। সিবিআই সূত্রে খবর, ঘটনার দিন সোহেলের বাড়িতে হাজির ছিল রঞ্জিত। ধৃতের বাবা নেই। মাকে নিয়েই থাকত সে। ঘটনার পর থেকে মাকে নিয়ে চম্পট দিয়েছিল রঞ্জিত। শুক্রবার রাতে রঞ্জিতের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। কিন্তু সেখানে কেউ ছিল না। বাড়ি সিল করে দেয় আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, এদিন রানাঘাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্ধের মধ্যে রঞ্জিতকে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে আনা হবে বলে খবর। এদিকে এদিন নির্যাতিতা তরুণীর মা-বাবা এবং জ্যাঠার দুই ছেলেকে ডেকে পাঠায় সিবিআই। সেখানে তাদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।
হাঁসখালি কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। ঠিক কী ঘটেছিল ৪ এপ্রিল রাতে? কে কে ছিল ধর্ষণের ঘটনার মূল অভিযুক্ত সোহেলের সঙ্গে? কেন লোকচক্ষুর আড়ালে দাহ করে দেওয়া হল নাবালিকার দেহ, এহেন একাধিক প্রশ্নের উত্তরে বহু অভিযোগ উঠে আসছে। তবে আদতে কী হয়েছিল, তা জানার জন্য তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। শুক্রবার সকালেও হাঁসখালিতে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। কথা বলেন, গ্রামবাসীদের সঙ্গে। নির্যাতিতার বাড়িতে যাওয়ার পাশাপাশি দফায় দফায় যান তিন অভিযুক্ত অর্থাৎ সোহেল গয়ালি ওরফে ব্রজ, প্রভাকর পোদ্দার ও দীপঙ্কর পোদ্দারের বাড়িতে।
তদন্তে উঠে আসা একাধিক তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এদিন একাধিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলেই খবর। অভিযুক্ত সোহেলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মিলেছে রক্তমাখা কাপড়। মনে করা হচ্ছে। সোহেলের বাড়ির পিছন থেকে উদ্ধার হয়েছে মদের বোতল। এতে প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা নিশ্চিত যে, ঘটনার দিন মদের আসর বসেছিল সোহেল অর্থাৎ ব্রজর বাড়ির পিছনে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.