ছবি: শান্তনু দাস
ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও নন্দন দত্ত: বীরভূমের একাধিক জায়গায় সিবিআই (CBI) ও ইডি হানা। শান্তিনিকেতনের রতনকুঠি গেস্ট হাউস থেকে দু’টি দলে ভাগ হয়ে নানুরের বাসাপাড়া ও সিউড়ির দিকে যান তদন্তকারী আধিকারিকেরা। তৃণমূলের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান ও সিউড়ির পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের বাড়িতেও হানা দেয় অফিসারেরা।
শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর রতনকুঠি গেস্ট হাউসে মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা ছিলেন। সকাল সকাল তাঁদের ১০টি গাড়ি বেরিয়ে পড়ে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে দু’টি দলে ভাগ হয়ে যান আধিকারিকরা। একটি দল নানুরের দিকে যায়। অন্য একটি দল সিউড়ির দিকে চলে যায়৷ নানুরের বাসাপাড়ায় বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানের বাড়িতে যান সিবিআই অফিসারেরা৷ প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে এই কেরিম খানের৷
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে নাজিমুদ্দিন মণ্ডল ওরফে টুলু। অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডল। প্রথম জীবনে খাদান কর্মী ছিলেন টুলু। মাত্র অল্পদিনের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করেন তিনি। অভিযোগ, গরুপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত টুলু। বুধবার সকালে ব্যবসায়ীর গালিলা ভবনে হানা দেয় ইডি ও সিবিআই। এরপর পাইকপাড়ার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সাজানো পল্লির বাড়িতে তালা ভেঙে ঢোকেন আধিকারিকরা। সাজানো পল্লি ও গালিলা ভবনের বাড়িতে থাকা লকার ভাঙা হয়। পাইক পাড়ায় বাড়ির দেওয়াল ভাঙার চেষ্টা করা হয় বলেই খবর। ইডি আধিকারিক সূত্রে খবর, সাজানো পল্লির বাড়ি থেকে উদ্ধার গুরুত্বপূর্ণ নথি।
এছাড়া, বাসাপাড়া আতকুলা গ্রামে মুক্তার শেখের বাড়িতেও তল্লাশি চালান চার সদস্যের সিবিআই প্রতিনিধি। সূত্রের খবর, বেশ কিছু নথি ও মুক্তার শেখের মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মুক্তার শেখ জানিয়েছেন, তাঁর মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গিয়েছেন আধিকারিকরা। এদিকে, সল্টলেকে ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগওয়ালের বাড়িতে হানা দেয় সিআইডি। মঙ্গলবার হেয়ার স্ট্রিটে ব্যবাসীর অফিসে হানা দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে ৩ লক্ষেরও বেশি নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। তারপর থেকে পলাতক ব্যবসায়ী। তাঁর খোঁজে চলছে তল্লাশি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.